স্টাফ রিপোর্টার,আগরতলা, ৮ মে।। করোনা সংক্রমণ রুখতে চলছে জোরকদমে ভ্যাকসিন প্রদান৷ প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন সেন্টারে চলে এই টিকাকরণ প্রক্রিয়া৷ কিন্তু সরকারি বিধিনিষেধ ভাঙা হচ্ছে একাংশ ভ্যাকসিন সেন্টারে৷ বিশেষ করে, কোন ধরনের সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না সেসব ভ্যাকসিন সেন্টারে৷ বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে আগরতলা শহর অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ৷
বিশেষ করে ৬টি ওয়ার্ডে সংক্রমণ অত্যন্ত বেশি৷ প্রশাসন সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পশ্চিম জেলার ২০৬টি ভ্যাকসিন সেন্টারে এক দু’দিনের জন্য ভ্যাকসিনের আগে নমুনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছিল৷ দু’দিন পর সমস্ত নমুনা পরীক্ষা বন্ধ করে সরাসরি ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়৷ ভ্যাকসিন সেন্টারগুলোতে প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে৷ কোন ধরনের সামাজিক দূরত্ব পরিলক্ষিত হচ্ছে না৷ এতে করে ভ্যাকসিন নিয়মিত প্রদান করা হলেও সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখানো হচ্ছে৷ এমনটাই প্রত্যক্ষ করা যায় শনিবার কসমোপলিটন ক্লাবের ভ্যাকসিন কেন্দ্রে এবং আইএমএ হাউসে৷ ভ্যাকসিন কেন্দ্রে ছিল না সামাজিক দূরত্ব৷ নির্দিষ্টভাবে কোন দূরত্ব না মেনেই একসাথে ভ্যাকসিন নিতে বসে থাকেন বহু মানুষ৷
শনিবার কৃষ্ণনগরের একটি ক্লাবের উদ্যোগে একটি বিয়ে বাড়িতে কোভিড টিকাকরণের আয়োজন করে৷ এদিন সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় টিকাকরণ শিবির৷ ক্লাবের সভাপতি সমর রায় জানান অনেক পুরোনো এই ক্লাব৷ সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য ধারাবাহিকভাবে ক্লাবের উদ্যোগ রয়েছে৷ কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ-এ দেশ ও রাজ্যের মানুষ বিপদের সম্মুখীন৷ এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে ক্লাবের উদ্যোগে টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করা হয়৷ স্বাস্থ্য দপ্তরের সহযোগিতায় কৃষ্ণনগরের মানুষের জন্য টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হয় কসমোপলিটন ক্লাবের উদ্যোগে৷ তিন শতাধিক মানুষকে টিকাকরণের আওতায় আনা হয় শিবিরের মাধ্যমে৷ কিন্তু সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি কেউই মানছেন না৷
এতে করে ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষের কাছ থেকে সংক্রমণ বিস্তার লাভ করতে পারে বলে সচেতন মহলের অভিমত৷ এক্ষেত্রে ক্লাব উদ্যোক্তা এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীদের উদাসীনতা সংক্রমণের একটা বড় কারণ হতে পারে৷ পাশাপাশি, যদি ভ্যাকসিনের আগে নমুনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হয় তাহলে সংক্রমিত রোগী যেমন শনাক্ত হবে, একইভাবে স্বাস্থ্যকর্মী অর্থাৎ যারা ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজে নিযুক্ত আছেন তারাও সুরক্ষিত থাকবেন৷