অনলাইন ডেস্ক, ৮ মে।। জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ এলাকায় সংঘর্ষে অন্তত ১৬৩ জন ফিলিস্তিনি আর ছয়জন ইসরায়েলি পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছে। ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট ইমারজেন্সি সার্ভিস ও ইসরায়েলি পুলিশের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
এ সময় বেশির ভাগ আহত হয়েছে আল-আকসা মসজিদে, যেখানে ফিলিস্তিনিদের ছোড়া পাথর আর বোতলের জবাবে ইসরায়েলি পুলিশ রাবার বুলেট ও স্টান গ্রেনেড ছুড়েছে।
রমজানের শেষ নিয়েছে, আহতদের চিকিৎসার জন্য তারা সেখানে একটি অস্থায়ী ফিল্ড হাসপাতাল চালু করেছে।
ওই এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে, কারণ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের জন্য পূর্ব জেরুজালেমের বাড়িঘর থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার আশঙ্কায় প্রতিদিনই উত্তেজনা বাড়ছিল।
আল-আকসা মসজিদ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম শ্রদ্ধার স্থান, তবে এটি ইহুদিদের কাছেও একটি পবিত্র স্থান, যাকে তারা টেম্পল মাউন্ট হিসেবে জানেন।
এই স্থানটিতে এর আগেও একাধিকবার সহিংসতা হয়েছে, যা আবার দেখা গেল শুক্রবার রাতেও। ইসরায়েলি পুলিশ দাবি করেছে, সন্ধ্যার নামাজের পর ‘হাজার হাজার ধর্মাবলম্বী দাঙ্গা শুরু করলে’ তারা ‘আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য’ শক্তি প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে।
আল-আকসার একজন কর্মকর্তা মসজিদের লাউডস্পিকারে সবাইকে শান্ত থাকার আরবান জানান বলে খবর রয়টার্সের। লাউডস্পিকারে তিনি বলছিলেন, “পুলিশ বাহিনী অবিলম্বে মুসল্লিদের উদ্দেশে স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ বন্ধ করুন। তরুণেরা শান্ত হোন। ”
রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, রাবার লাগানো ধাতব বুলেটে আহত হওয়ার পর সেখান থেকে অন্তত ৮৮ জন ফিলিস্তিনিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের অন্তত ছয়জন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন, যাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবারের সহিংসতার পর সবাইকে উত্তেজনা প্রশমন করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। সেই সঙ্গে জেরুজালেমের শাইখ জারাহ এলাকা থেকে উচ্ছেদের হুমকিতে ক্ষোভও বাড়ছে।
জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন যেকোনো ধরনের উচ্ছেদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করা হয়। ‘বিক্ষোভকারীদের প্রতি যেন সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখানো হয়’, তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগে’ রয়েছে ওয়াশিংটন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা মামলার বিষয়ে সোমবার একটি শুনানি করতে যাচ্ছে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট।