অনলাইন ডেস্ক, ৭ মে।। কে হবেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা? শুক্রবার থেকে রাজ্যটিতে এই প্রশ্নে সরগম। দৌড়ে আপাতত এগিয়ে শুভেন্দু অধিকারী। কারণ প্রাথমিকভাবে তিনি ‘জায়ান্ট কিলার’। অর্থাৎ হারিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে।
শুভেন্দুকে ‘জননেতা’ বলে মেনেও নিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের কিছু লোকজন বলছেন, শুভেন্দুর ব্যক্তিত্ব এবং তার নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাও বিবেচনায় রয়েছে। বিধানসভার অন্দরে বিপুলভাবে জিতে ক্ষমতায় আসা শাসকদলের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই দিতে পারবেন বলেই মনে করছে দলের ওই অংশ।
তবে শুভেন্দুর পাশাপাশি উঠে আসছে মুকুলের নামও। কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছেন মুকুল। যিনি এক সময় তৃণমূলের অঘোষিত দুই নম্বর ছিলেন। জীবনে এই প্রথম ভোট জিতলেও সংগঠক হিসেবে মুকুলের অভিজ্ঞতা কম নয়। কিন্তু আইনসভার সদস্য হিসেবে তিনি কতটা কার্যকরী হবেন, তা নিয়ে বিজেপির ভেতরে একটা আলোচনাও চলছে।
কারণ দুটি পর্যায়ে রাজ্যসভার সদস্য থাকলেও মুকুল সেখানে বক্তা হিসেবে খুব দাগ কেটেছেন, তথ্য এমন বলে না। আবার মুকুলের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, রাজপথের রাজনীতিতে শুভেন্দু অবশ্যই এগিয়ে। কিন্তু পরিষদীয় রাজনীতি করতে গেলে অভিজ্ঞতা, ধৈর্য ও রাজনৈতিক জ্ঞান থাকা জরুরি। পাঁচ বছর ধরে বিধানসভার অন্দরে মমতার সঙ্গে লড়াই করার মতো ধৈর্য বর্ষীয়ান মুকুলের আছে।
আবার রাজ্য বিজেপির একটি সূত্রের দাবি- তৃণমূল থেকে আসা মুকুল-শুভেন্দু কাউকেই বিরোধী দলনেতার পদে চাইছেন না রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি চান সংঘ পরিবার-ঘনিষ্ঠ কাউকে বিরোধী দলনেতা করা হোক।
কিন্তু এ ক্ষেত্রে অন্তরায় অভিজ্ঞতা। যে ৭৭ জন বিধায়ক হয়েছেন, তাদের মধ্যে মাত্রই হাতে-গোনা কয়েকজনের পরিষদীয় রাজনীতি করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।