অনলাইন ডেস্ক, ৭ মে।। তাইওয়ানে জুডো প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে সিনিয়র সতীর্থ এবং প্রশিক্ষকের আঘাতে সাত বছর বয়সী এক শিশু জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণের নামে শিশুটিকে ২৭ বার ফ্লোরে আছড়ে ফেলা হয়!
শিশুটির পরিচয় হিসেবে ওয়েই ওয়েই লেখা হয়েছে প্রতিবেদনে। সুপার মারিওর ভক্ত সে। ট্র্যাক রেসে একবার তৃতীয় স্থান দখল করেছিল শিশুটি।
এপ্রিলের শুরুর দিকে ওয়েই তার পরিবারকে রাজি করিয়ে জুডো স্কুলে ভর্তি হয়। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে তার অবস্থা এখন শোচনীয়।
তাইওয়ানের অনলাইনে বিরক্তিকর একটি ভিডিও ছড়িয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, বড় সহশিক্ষার্থী তাকে ম্যাটের ওপর ছুড়ে ফেলছে। বারবার আঘাতের কারণে সে দাঁড়াতে পারছিল না। কিন্তু কোচ জোরে জোরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। বড় ছেলেটিকে আবার ছুড়ে ফেলতে বলেন।
ওয়েই আরও দুর্বল হয়ে পড়লে আকারে অনেক বড় দেহের অধিকারী কোচ নিজে তাকে কয়েকবার ছুড়ে ফেলে!একপর্যায়ে শিশুটি বমি করলেও ‘প্রশিক্ষণ’ থামেনি।
এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা ব্রেন হ্যামারেজ শনাক্ত করেন। ওয়েইর মা বলছিলেন, ‘ওই দিন সকালে আমি ওকে স্কুলে দিয়ে আসি। ঘুরে আমাকে বলছিল মাম্মা গুড বাই। ’
৬০ বছর বয়সী ওই কোচকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দিয়েছে। কোচের দাবি, তিনি ভুল কিছু করেননি। এটি প্রশিক্ষণের অংশ!
তবে ভুক্তভোগীর পরিবার সংবাদ সম্মেলন করার পর আদালত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রশিক্ষককে আইনের আওতায় আনতে বলা হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, তাইওয়ানে শিশুদের শিক্ষা বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এখন ভাবার সময় এসেছে।