২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই একের পর এক পোস্টে ভরে উঠেছে কঙ্গনার টুইটার হ্যান্ডেল। মমতা ব্যানার্জিকে রাবণের সঙ্গে তুলনা করা থেকে শুরু করে রাজ্যটিকে কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা। মুসলমানদের বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা বলে উল্লেখ করেন তিনি। এমনকি পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবি জানান কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। এরপরই চূড়ান্ত পদক্ষেপ টুইটার কর্তৃপক্ষের। স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয় কঙ্গনার টুইটার হ্যান্ডেল।
দিনের পর দিন নিয়মবিধি লঙ্ঘন করার জন্য এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন মাইক্রো ব্লগিং সাইটটির মুখপাত্র। তাদের আশঙ্কা, অভিনেত্রীর বক্তব্যের ফলে সহিংসতা তৈরি হতে পারে। মঙ্গলবার বিকেলে একই রকম পদক্ষেপের কথা জানান ভারতের দুই খ্যাতনামা ফ্যাশন ডিজাইনার আনন্দ ভূষণ ও রিমঝিম ডাদুর। তারা ইনস্টাগ্রামে জানান, সামনে যে সব প্রকল্পের কথা হয়েছিল কঙ্গনার সঙ্গে, তা বাতিল করা হবে।
এর আগে যা যা কাজ তারা করেছেন, সে সব ছবি ও ভিডিও নেটমাধ্যম থেকে তুলে নেওয়া হবে। আনন্দ লেখেন, “আজকের সব ঘটনার পর আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোনোভাবেই উসকানিমূলক বক্তব্যকে সমর্থন করবো না।” রিমঝিম লেখেন, “ঠিক কাজ করার নির্দিষ্ট সময় হয় না।” অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর দুই ডিজাইনারের প্রশংসা করেছেন টুইটারে।