তিনি জানান, দীর্ঘ ৫০ বছরের অভিনয় জীবন ৭০ বছরের শংকরবাবুর। এরপরই লেখেন, “দেখা হলেই এখনো পুরোনো দিনের গল্প বলেন, উত্তম কুমার, সলিল চৌধুরী আরো কতজনের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা বলেন। দুঃখ করে বললেন, বাংলার থিয়েটারটা শেষ হয়ে গেল, এক কালে মাস মাইনে ছিল, বোনাস ছিল। দিল্লি ও বম্বে থেকে নাম করা অভিনেতারা আসতেন, আর এখন হলগুলো দেখলে কষ্ট হয়।”সর্বশেষে ‘সৌদামিনীর সংসার’ ধারাবাহিকে কাজ করেছেন শংকর চৌধুরী।
তার আগে ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ ধারাবাহিকেও তিন দিনের কাজ করেছিলেন বলে জানান সব্যসাচী। কিন্তু তারপরই কাজ ছিল না। খাবারের পয়সাটুকু না থাকায় হাতিবাগানের মোড়ে হাত পেতেছিলেন প্রবীণ অভিনেতা। নিজের স্ত্রী এবং ছোট নাতিকে নিয়ে থাকেন গৌরীবাড়ির মোড়ে এক জরাজীর্ণ বাড়িতে। সে কথা সব্যসাচীকে জানান তিনি। তার বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং টাকা পাঠানোর একাধিক মাধ্যমের কথা জানিয়েছিলেন ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ ধারাবাহিকের অভিনেতা। সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন ক্যানসার অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মাও। সব্যসাচীর এই পোস্টেই কাজ হয়।
বেলা চারটার দিকে আবার ফেসবুকে সে কথা জানিয়ে সব্যসাচী লেখেন, “১২ ঘণ্টা আগে শংকর ঘোষালকে নিয়ে পোস্টটি করেছিলাম। এই ১২ ঘণ্টায় শংকরদার অ্যাকাউন্টে প্রায় ৪০ হাজার টাকা ঢুকেছে, তার বাড়িতে আগামী এক মাসের খাবার ঢুকেছে। ওষুধপত্রও চলে আসবে আজকালের মধ্যে। সব চেয়ে বড় কথা, একটা কাজেরও ব্যবস্থা হয়েছে।” এক খুদে স্কুল পড়ুয়া ১১ টাকা পাঠিয়েছে বলেও জানান সব্যসাচী।