ভিক্ষা করছেন উত্তম কুমারের সহ-অভিনেতা

অনলাইন ডেস্ক, ৩ মে।। এক সময় উত্তমকুমার, সলিল চৌধুরীর মতো বড় বড় তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছিলেন টলিউডের ৭০ বছরের অভিনেতা শংকর চৌধুরী। কিন্তু এখন হাতে কাজ নেই। খাওয়ার পয়সা নেই। অভাবের তাড়নায় রাস্তায় ভিক্ষা পর্যন্ত করতে হয়েছে তাকে। নিদারুণ দারিদ্রে হাত পাততে বাধ্য হওয়ার কথা নিজেই জানিয়েছেন। প্রবীণ অভিনেতার এই করুণ কাহিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে তুলে ধরেন টেলিভিশনের ‘বামাক্ষ্যাপা’ মানে সব্যসাচী চৌধুরী।শনিবার বেলা এগারোটার দিকে শংকর চৌধুরীর ছবি পোস্ট করেন সব্যসাচী।

তিনি জানান, দীর্ঘ ৫০ বছরের অভিনয় জীবন ৭০ বছরের শংকরবাবুর। এরপরই লেখেন, “দেখা হলেই এখনো পুরোনো দিনের গল্প বলেন, উত্তম কুমার, সলিল চৌধুরী আরো কতজনের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা বলেন। দুঃখ করে বললেন, বাংলার থিয়েটারটা শেষ হয়ে গেল, এক কালে মাস মাইনে ছিল, বোনাস ছিল। দিল্লি ও বম্বে থেকে নাম করা অভিনেতারা আসতেন, আর এখন হলগুলো দেখলে কষ্ট হয়।”সর্বশেষে ‘সৌদামিনীর সংসার’ ধারাবাহিকে কাজ করেছেন শংকর চৌধুরী।

তার আগে ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ ধারাবাহিকেও তিন দিনের কাজ করেছিলেন বলে জানান সব্যসাচী। কিন্তু তারপরই কাজ ছিল না। খাবারের পয়সাটুকু না থাকায় হাতিবাগানের মোড়ে হাত পেতেছিলেন প্রবীণ অভিনেতা। নিজের স্ত্রী এবং ছোট নাতিকে নিয়ে থাকেন গৌরীবাড়ির মোড়ে এক জরাজীর্ণ বাড়িতে। সে কথা সব্যসাচীকে জানান তিনি। তার বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং টাকা পাঠানোর একাধিক মাধ্যমের কথা জানিয়েছিলেন ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ ধারাবাহিকের অভিনেতা। সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন ক্যানসার অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মাও। সব্যসাচীর এই পোস্টেই কাজ হয়।

বেলা চারটার দিকে আবার ফেসবুকে সে কথা জানিয়ে সব্যসাচী লেখেন, “১২ ঘণ্টা আগে শংকর ঘোষালকে নিয়ে পোস্টটি করেছিলাম। এই ১২ ঘণ্টায় শংকরদার অ্যাকাউন্টে প্রায় ৪০ হাজার টাকা ঢুকেছে, তার বাড়িতে আগামী এক মাসের খাবার ঢুকেছে। ওষুধপত্রও চলে আসবে আজকালের মধ্যে। সব চেয়ে বড় কথা, একটা কাজেরও ব্যবস্থা হয়েছে।” এক খুদে স্কুল পড়ুয়া ১১ টাকা পাঠিয়েছে বলেও জানান সব্যসাচী।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?