চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের সরাসরি গ্রুপ ডি ও গ্রুপ সি পদে নিয়োগের দাবিতে সোমবার রাজধানী আগরতলা শহরের সার্কিট হাউসে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে গণ অবস্থান আন্দোলন সংগঠিত করার চেষ্টা করেন।
চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা আন্দোলনে শামিল হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত হন। প্রশাসনের তরফ থেকে তাদেরকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় করুণা ভাইরাসের সংক্রমণ জনিত পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই আন্দোলন করা যাবে না। আন্দোলনকারীদের ৫ মিনিটের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে তাদেরকে সেখান থেকে চলে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন এসডিপিও প্রিয়া মাধুরী মজুমদার।
পুলিশ ও প্রশাসন তাদেরকে আন্দোলন করতে দেয়নি। করোনা পরিস্থিতির কারণে গন অবস্থান আন্দোলন সংগঠিত করা যাবে না বলে তাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয়। তাতে তীব্র অসন্তোষ ব্যক্ত করেন চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আন্দোলনকারীরা জানান হাইকোর্টের অনুমতিক্রমেই তারা অবস্থান আন্দোলনে সামিল হওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সুপ্রিমকোর্ট রাজ্য সরকারকে স্পষ্ট ভাবে বলেছে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করার জন্য।
কিন্তু রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশ মানেনি। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে চাকরির জন্য সাধারণ চাকুরী প্রার্থীদের সঙ্গে চাকরিচ্যুত চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউতে বসার কথা বলা হয় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে এবং সরাসরি গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে চাকুরী শিক্ষকদের নিয়োগের দাবিতে তারা আন্দোলনে সামিল হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশ ও প্রশাসন করোনা পরিস্থিতির অজুহাত দেখিয়ে সোমবার তাদেরকে আন্দোলন করতে দেয়নি।
আন্দোলনকারীরা অবশ্য তাদের দাবি তুলে ধরে প্রশাসনের কথায় মান্যতা দিয়ে সেখান থেকে কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে যান। তারা অবশ্য জানিয়েছেন অদূর ভবিষ্যতেই তারা আন্দোলনে সামিল হবেন।১০৩২৩ টিচাররা আজ সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী গ্রুপ সি গ্রুপ ডি তে সরাসরি নিয়োগ করতে হবে তার দাবি নিয়ে গান্ধী মূর্তির সামনে ধরনাতে বসার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ তাদেরকে বসতে বাধা দিল যেহেতু কোভিড চলছে তাই।