বর্তমানে ক্যানেলের মাধ্যমে জল-সরবরাহ করা হচ্ছে না। অবশ্য ওই এলাকার কৃষিজমিতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে মেশিন বসানো রয়েছে। কিন্তু ওই এলাকায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে বিপর্যস্ত হয়ে রয়েছে। ফলের পাম্প মেশিন দিয়ে জল উত্তোলণ করে কৃষি জমিতে সেচ করা যাচ্ছে না। এবছর এখনো পর্যন্ত তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি। অনাবৃষ্টিতে কৃষকদের ফসল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফেস ব্যবস্থা মুখ থুবরে পড়ে কৃষকদের মাথায় হাত।
এ বিষয়ে কৃষকরা স্থানীয় পঞ্চায়েত সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছেন না। তাতে ক্ষোভে ফুঁসছেন ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। তাদের অভিযোগ একমাত্র বিদ্যুৎ না থাকার কারণেই কৃষকরা কৃষি জমিতে সেচের মাধ্যমে জল দিতে পারছেন না। কৃষিপ্রধান ওই এলাকার মানুষজন রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন। কৃষকদর এই দুদুর্দশা খবর পেয়ে সোমবার গোমতী জেলার জিলা সভাধিপতি স্বপন অধিকারী সহ কৃষি দপ্তরের অধিকারিকরা কুশামারা এলাকায় ছুটে যান। এদিকে এলাকার কৃষকরাও খবর পেয়ে ছুটে যান কৃষি জমিতে।
কৃষক সহিদ মিয়া, পেরা মিয়া সহ অন্যান্য কৃষকরা মিলে বিদ্যুৎ দপ্তর এর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। তাদের বক্তব্য এই জমিতে ধান চাষ করে প্রত্যেকে জীবন ধারন করে আসছেন। এবছর সরকারের সহযোগিতায় হাইব্রিড ধান লাগিয়েছেন। প্রচুর ধান জমিতে হওয়া সত্বেও বিদ্যুতের অভাবে জমিতে জল দিতে পারছে না। জলও আছে অথচ বিদ্যুৎ না থাকার ফলে জমিতে জল দিতে পারছে না। এলাকার কৃষকরা এ বিষয়ে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এই সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা ইতিমধ্যে করা হবে বলে জানিয়েছেন সভাধিপতির স্বপন অধিকারী।