কৃষি কাজ করেই তারা জীবিকা নির্বাহ করেন। জানা যায় ধাম কেটে মাঠ থেকে বাড়িতে তোলার কাজ চলছিল। জানা গেছে,কৃষি জমির উপর দিয়ে বিদ্যুৎ পরিবাহি তার বয়ে গেছে। বিদ্যুৎ পরিবাহি তার ঝুলে রয়েছে। এলাকার মানুষজন এবং কৃষকরা চলাফেরা করতে পারছেন না। ঝুলে পড়ে থাকা তার সরিয়ে নেওয়ার জন্য স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার বিদ্যুৎ নিগমের অফিসে খবর দেওয়া হয়। লিখিতভাবেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
কিন্তু বিদ্যুৎ নিগম তারগুলি সেখান থেকে সরিয়ে নেয়নি ,কিংবা তার গুলো উপরে উঠানোর কোন ব্যবস্থা করেনি। বিপদজনক অবস্থায় ঝুলে থাকা তার বিপদ ডেকে এনেছে। শনিবার কৃষি জমিতে ধান মাড়াইয়ের কাজ চলছিল।মমতাজ বেগম কাজ করার সময় হঠাৎ বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়। তাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ওই মহিলা। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। খবর পাঠানো হয় থানা এবং বিদ্যুত নিগমের অফিসে।
পুলিশ এবং বিদ্যুৎ নিগমের করবিনা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তখন তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দেয়। মহিলার মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন এলাকাবাসী। বিদ্যুৎ নিগমের কর্মীদের কাশির কারণ এই মহিলা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন বলে অভিযোগ। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মহিলার মৃত্যুর জন্য বিদ্যুত নিগমকে দায়ী করে অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সাহায্য প্রদানের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।ঘটনার বিবরণে জানা যায় শনিবার সকাল ছয় ঘটিকার সময় মানিক্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১নং ওয়ার্ডের নয়নজলা এলাকার মৃত মাহাবুল ইসলামের স্ত্রী মমতাজ বেগম(৩৫)তার পরিবারের সাথে বাড়ির পাশাপাশি রুকিয়া সংলগ্ন এলাকায় ধান ঝারাই করতে যায়।
ধান ঝাড়াই করতে গিয়ে জল পিপাসা পায়।আর তাতেই মহিলা পাশের বাড়িতে জল আনতে যাওয়ার সময় মাটিতে ঝুলে থাকা তারের সাথে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ছিটকে পড়ে যায় জমিতে মমতাজ বেগম।সাথে সাথে জমিতে কাজ করা লোকজনেরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি বিদ্যুৎপৃষ্ঠ মহিলাটিকে বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে।কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।পরবর্তী সময়ে কলমচৌড়া থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেন।এলাকাবাসীর অভিযোগ এই তারগুলি মাটিতে ঝুলে থাকার কারণে বক্সনগর বিদ্যুৎ দপ্তর এর অফিসে বহুবার জানানোর পরেও কোনো কাজ হয়নি।অবশেষে দপ্তরের অফিসে এসে লিখিত অভিযোগও জানায় জমির মালিক ও এলাকাবাসী।
আজ এই দপ্তরের গাফিলতির কারণেই অকালে চলে যেতে হল তিন সন্তানের স্বামীহারা জননী। তার মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।মৃত্যুকালে তার একটি পুত্র সন্তান ও দুটি কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।গত সাত বছর আগে তার স্বামী মাহাবুল ইসলাম কুয়েতে কাজ করতে গিয়ে একটি কঠিন দুরারোগ্য আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল।সাত বছর ধরে এই মহিলা রেগার কাজ করে কোনরকমে তার এই অভাবের সংসার প্রতিপালন করে থাকে।