স্টাফ রিপোর্টার, ধর্মনগর, ৩০ এপ্রিল।। সরকারিভাবে সদ্যোজাত শিশুকে হোমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে চাপের মুখে সিদ্ধান্ত বদল চাইল্ড লাইনের। সদ্যজাত শিশু বিক্রির চেষ্টার ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল ধর্মনগর। আবারও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লংকাকান্ড ঘটে গেল ধর্মনগরে ।
পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুক্রবার চাইল্ড লাইনের কর্মীরা শিশুটিকে আগরতলা হোমে দেওয়ার জন্যে নিতে গেলে উলটো ক্ষোভের মুখে পড়ে চাইল্ড লাইনের কর্মীরা।শেষ পর্যন্ত জন্মদাত্রী মা এর কাছেই রয়ে গেল নবজাত শিশুটি।ঘটনার বিবরনে প্রকাশ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শিশু বিক্রির চেষ্টার ঘটনায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছিল ধর্মনগর মহাকুমা হাসপাতাল সহ সর্বত্র।
জন্মদাত্রী মা এর বিরুদ্ধে হাসপাতাল থেকেই সদ্যজাত শিশু বিক্রির গুরুরতর অভিযোগ উঠেছিল। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছিল ধর্মনগর মহিলা থানার পুলিশ ,চাইল্ড লাইন ,চাইল্ড ওয়েল ফেয়ার কমিটি সহ দপ্তরের একাধিক কর্তা ব্যক্তিরা। সদ্যজাত শিশু কন্যা সন্তানটিকে জন্মদাত্রী মা নিজেই কুমারঘাটের এক দম্পতির কাছে দিতে চেয়েছিলেন তা কবুল করেছিলেন শিশুটির মা এবং শিশুটিকে নিয়ে যেতে ইচ্ছুক সন্তানহীন ওই দম্পতিও।
এই ঘটনকে কেন্দ্র করে চাইল্ড ওয়েল ফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যান বলেছিলেন ধর্মনগর জেলা হাসপাতাল থেকে শিশু বিক্রির মতো ঘটনাআগেও তিনি শুনেছেন। কিন্তু কোন দিন সত্যতা পান নি। এ যাত্রায় ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এই ধরনের ঘটনাগুলির সাথে হাসপাতালেরই একটা চক্র জড়িত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
পরবর্তীতে সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টের সহ অধিকর্তা জন কেল্ভিন দেব্বর্মার উপস্থিতিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শিশুটিকে চাইল্ড লাইন আগরতলা হোমে হস্তান্তর করবে। কারন সদ্যজাত শিশুটির মা’র সাথে বিগত ৬ মাস যাবত যোগাযোগ নেই উনার স্বামীর ।
এর আগেও চারটি সন্তান রয়েছে উনার ।তাদেরকেই লালন পালন করতে পারছিলেন না মহিলা । তাই স্ব-ইচ্ছাতেই সদ্যেজাত শিশুটির লালন পালনের জন্য সরকারের কাছে সপে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন জন্মদাত্রী মা। কিন্তু শুক্রবার চাইল্ড লাইনের কর্মীরা শিশুটিকে নিতে গেলেই বাধে বিপত্তি। মহিলা শিশুটির দায়িত্ব সরকারের কাছে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
ধর্মনগর হাসপাতাল থেকে চাইল্ড লাইনের কর্মীরা সদ্যেজাত শিশু এবং মহিলাকে নিয়ে ধর্মনগর শ্মশান কালীবাড়ি রোডে মহিলার বাড়িতে আসার পড়েই একটি লংকা কান্ড ঘটে যায়। সদ্যেজাত শিশুটির মায়ের কথা শুনে এলাকাবাসী ক্ষনিকের জন্য এক প্রকার চড়াও হয় চাইল্ড লাইনের কর্মীদের উপর ।শেষ পর্যন্ত চাইল্ড লাইনের তরফে খবর দেওয়া হয় মহিলা থানায় এবং চাইল্ড অয়েলফেয়ার কমিটিকেও।
অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আসে।চাইল্ড লাইনের কর্মীদের অভিযোগ এলাকার কিছু লোকজনেরা তাদের বিরুদ্ধে খারাপ মন্তব্যও করেছেন।শেষ পর্যন্ত সদ্যেজাত শিশুটি রয়ে গেল জন্ম দাত্রী মায়ের কাছেই। মহিলা লিখিত দিয়েছেন তিনি সযত্নে শিশুটির লালন পালন করবেন।