অনলাইন ডেস্ক, ৩০ এপ্রিল।। কিম জং-উন বলেছিলেন ইউরোপ থেকে আনতে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার কারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সেটি পারেনি। বাধ্য হয়ে চীন থেকে সস্তায় মেডিকেল সরঞ্জাম অর্ডার করে নিজের জীবনটাই দিতে হল দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে।
উত্তর কোরিয়ার সমসমায়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা অনলাইন গণমাধ্যম ‘ডেইলি এনকে’ জানিয়েছে, ৫০ বছর বয়সী ওই কর্মকর্তা ডেপুটি ডিরেক্টর পদমর্যাদার।
হাসপাতালটির কাজ গত বছর শুরু হলেও এখনো উদ্বোধন করা যায়নি। কিমের নির্দেশ ছিল অক্টোবরের ভেতরে সব কাজ শেষ করতে হবে।
ইউরোপ থেকে উত্তর কোরিয়ার ওপর আমদানি নিষেধাজ্ঞা থাকায় ওই কর্মকর্তা সরঞ্জাম আনতে ব্যর্থ হন। পরে চীনের দিকে ঝোঁকেন। চলতি মাসে সেগুলো এসে পৌঁছানোর কথা।
কিম চীন থেকে কেনাকাটার এই চুক্তি না মেনে ওই কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
কিমের আইন-কানুন এমনই। পান থেকে চুন খসলেই মৃত্যুদণ্ড দিয়ে দেন। তার দেশের আইন এতটাই কড়া যে অপরাধীর পরের তিন প্রজন্মকেও এই শাস্তি ভোগ করতে হতে পারে।
‘অপরাধীর বীজ’ নির্মূলের লক্ষ্যে ১৯৮০ সালের দিকে এই নিয়ম চালু হয় দেশটিতে।
দেশটিতে কোনো আলোচনা সভায় ঘুমিয়ে পড়লে বড় সমস্যায় পড়তে হয়। কিম জং-উনের একটি ইভেন্টে ২০১৫ সালে প্রতিরক্ষামন্ত্রী একটু ঘুমিয়ে পড়ায় প্রকাশ্যে তাকে হত্যা করা হয়!