প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে দৈনিক সংক্রমণের গড় সাপ্তাহিক হার প্রায় ৩১৭। জার্মানিতে এই মুহূর্তে সংখ্যাটি ১৫৪। এমন পরিস্থিতি সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে-র সরকার ‘হিসেব করে ঝুঁকি’ নিয়ে জনজীবন কিছুটা স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নিয়েছে। রাতে কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে, শর্তসাপেক্ষে দোকানবাজার ও রেস্তোরাঁ খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিনেই একাধিক শহরে অসংখ্য মানুষের ভিড় দেখা গেছে। জার্মানির দক্ষিণের প্রতিবেশি অস্ট্রিয়াও বিধিনিয়ম শিথিল করার পথে এগোচ্ছে।
আপাতত রাজধানী ভিয়েনায় আগামী সপ্তাহ থেকে ধাপে ধাপে কিছু বিধিনিষেধ তুলে নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শহরের বামপন্থি মেয়র। উন্মুক্ত সীমানার কারণে জার্মানিতে করোনা সংক্রমণের হার দ্রুত বেড়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। জার্মানিতে ঘরবন্দি মানুষ নেদারল্যান্ডস বা অস্ট্রিয়ায় কেনাকাটা অথবা পর্যটনের সুযোগ নিলে এমনটা ঘটতে পারে। নর্থরাইন ওয়েস্টফালেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগরিকদের উদ্দেশ্যে নেদারল্যান্ডস ভ্রমণ এড়িয়ে চলার আবেদন জানিয়েছেন।