তাঁর আশীর্বচন প্রত্যেকের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। মানব কল্যাণ এবং সমাজের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, সমগ্র বিশ্বেই কোভিড- ১৯ সংক্রমণ বেড়ে চলছে। বিগত দিনেও কোভিড জনিত পরিস্থিতিতে সকলে মিলে যেভাবে সতর্কতা অবলম্বন করে কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হয়েছিলো তেমনি বর্তমানেও আমরা সকলে মিলে সতর্কতা অবলম্বনের মাধ্যমে কোভিড পরিস্থিতি থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম হবো।
মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলা, মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পাশাপাশি বাজারগুলিতে ভিড় এড়িয়ে চলার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সুস্থ ও সুরক্ষিত রাখলেই সমাজকে সহযোগিতা করা সম্ভব। অনুষ্ঠানে বিধায়ক মিমি মজুমদার আশাব্যক্ত করে বলেন একমাত্র সচেতনতাই কোভিডের কবল থেকে পৃথিবীকে মুক্ত করতে পারে।
অন্যদিকে, এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বেলতলিস্থিত আনন্দময়ী কালী মন্দিরে বিধায়ক মিমি মজুমদারের বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলের অর্থানুকূল্যে প্রদানকৃত অ্যাম্বুলেন্সের আনুষ্ঠানিক ফ্ল্যাগ অফ করেন। এই উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেব বলেন, এই অ্যাম্বুলেন্সটি রোগীদের পরিষেবায় নিয়োজিত থাকবে। এলাকার নাগরিকগণ এর সুবিধা পাবেন। জরুরি পরিষেবায় অ্যাম্বুলেন্সে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখতেও তিনি উপস্থিত সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরার মানুষের মধ্যে স্বনির্ভর হওয়ার মানসিকতা গড়ে উঠেছে। এই মনোভাবই স্বনির্ভর ত্রিপুরা গঠনে সক্ষম হবে।
প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, বর্তমান এই কোভিড অতিমারি জনিত পরিস্থিতিতে জিডিপি হোক বা মাথাপিছু গড় আয় কোনও দিক থেকেই ত্রিপুরা পিছিয়ে নেই। আমাদের সকলকে একসূত্রে বেঁধে রাখার ক্ষেত্রে সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান সহ সামাজিক রীতিনীতি, সমৃদ্ধশালী কৃষ্টি ও সংস্কৃতির গুরুত্বের কথাও মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কোভিড মোকাবিলায় রাজ্য সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।
তবে সবাইকে সতর্কতামূলক সব ধরনের সুরক্ষাবিধি মেনে চলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শ দেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক মিমি মজুমদার। অনুষ্ঠানে আনন্দময়ী কালী মন্দিরের পরিচালন কমিটির সম্পাদক, সদস্য সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আনন্দময়ী কালী মন্দিরে রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামনায় আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন। অনুষ্ঠান শেষে বেলতলিস্থিত আনন্দময়ী কালী মন্দির কমিটির হাতে এই অ্যাম্বুলেন্সটি তুলে দেওয়া হয়।
