এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতি থাকল আমাদের।’ বাইডেন মনে করেন, এই ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই কোথাও সংঘটিত হওয়া উচিত নয়। ঘটনার শতবর্ষ পূর্তি ছিল ২৪ এপ্রিল। এদিন বাইডেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানকে ফোন করে জানান, অটোমান তুর্কিদের হাতে আর্মেনীয় জনগোষ্ঠীর নির্বিচারে প্রাণ হারানোর ঘটনাকে ‘গণহত্যার’ স্বীকৃতি দিতে চান। ১৯১৫ থেকে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত অটোমান সাম্রাজ্যে প্রায় ১৫ লাখ আর্মেনিয়ান প্রাণ হারান। তুর্কিরা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ওই ঘটনার বিষয়ে দায় স্বীকার করলেও ‘গণহত্যা’ বলতে নারাজ।
১৯১৫ সালের ২৪ এপ্রিল অটোমান সরকারের শত্রু বলে সন্দেহে আর্মেনীয় সম্প্রদায়ের কয়েক শ নেতা ও বুদ্ধিজীবীকে কনস্টান্টিনোপলে (বর্তমান ইস্তাম্বুল) বন্দী করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের বেশির ভাগকেই হত্যা ও নির্বাসিত করা হয়। আর্মেনীয়রা ২৪ এপ্রিল দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। আর্মেনীয়রা দীর্ঘদিন থেকে ওই হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা বলে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য চাপ দিয়ে আসছে। আর্মেনিয়ার বৈদেশিক নীতির মূল লক্ষ্যই এটা। তবে কিছু বিশ্লেষকের মতে, এটি তুরস্কের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় এবং সম্ভাব্য ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারের অধিকার লাভের কৌশলের অংশ।