স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৪ এপ্রিল।। ২০২২ সালের মধ্যে সবার জন্য আবাসনের সুবিধা নিশ্চিন্ত করার লক্ষ্যে ভারত সরকার ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ (পি এম এ ওয়াই জি) চালু করে। কম খরচে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষদের পাকাবাড়ি নির্মাণে সহায়তা হিসাবে সমতল এলাকায় ১,২০,০০০ টাকা এবং পাহাড়ি এলাকায় ১,৩০,০০০ টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
তার আগে ইন্দিরা আবাস যোজনার সময়ে পাহাড়ি এলাকার ক্ষেত্রে ৭৫,০০০ টাকা দেওয়া হতো। উল্লেখ্য, সোসিও ইকোনমিক ফাস্ট সেনসাস-২০১১-এর সমীক্ষা অনুযায়ী যারা শূন্য/এক/দুই রুম বিশিষ্ট কাঁচা বাড়িতে বাস করেন তারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য। রাজ্য সরকারের গ্রামোন্নয়ন দপ্তর থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রামোন্নয়ন দপ্তর থেকে প্রচারিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে রাজ্যের ৭৫ শতাংশ গৃহ আধা স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রেণীর যার মধ্যে ৮৩ শতাংশই হচ্ছে গ্রামীণ এলাকায়। রাজ্যে ৭৫ শতাংশ আবাসনই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ত্রিপুরা সহ সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চল পাচ নং ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার কারণে গ্রামীণ এলাকার কাঁচা মাটির ঘরে বসবাসকারী লোকদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে।
বৃষ্টিপাতের হার বেশি হওয়ায় ত্রিপুরাতে মাটির কিংবা বাশের ঘরে জি সি আই সীটের চাল তৈরি করতে বেশি দেখা যায়৷ কিন্তু ভারত সরকারের নিয়মে জি সি আই সাঁট-এর তৈরি গৃহকে পাকাবাড়ি হিসেবে বিবেচনা করা হতো বলে ত্রিপুরার বহু দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পেত না।
তাই ত্রিপুরা সরকার ২০১৮ সালে জি সি আই সীট দেওয়া কাঁচা বাড়িগুলিকে ত্রিপুরা সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য এবং পাহাড়ি রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে পি এম এ ওয়াই জি প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসার অনুরোধ জানায় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে। সেই অনুসারে ভারত সরকার প্রচলিত নিয়মের সংশোধন করে ত্রিপুরা এবং আসামের ক্ষেত্রে জি সি আই সীট দেওয়া ঘরগুলিকেও কাঁচা বাড়ির মর্যাদা দেয়।
ফলে ত্রিপুরাতে ২০১১-এর সমীক্ষার তুলনায় আরও ২,৮০,৪১৯ জন বেশি যোগ্য সুবিধাভোগীকে চিহ্নিত করা হয় যা রাজ্যের ক্ষেত্রে এক বড় সাফল্য। আগের তালিকার ৪৮,৫০০ জন সুবিধাভোগীর নাম ইতিমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে।