আইসিইউ, অক্সিজেনেটেড বেড, অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ভেন্টিলেটর সহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখা হয়। এজিএমসি ও জিবিপি হাসপাতালে কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় অক্সিজেন সিলিন্ডারের যাতে কোনও অবস্থাতেই সঙ্কট না হয় সে বিষয়ে সভায় গুরুত্ব আরোপ করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে অক্সিজেন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা অর্থ দপ্তরের যুগ্ম সচিব ডাঃ বিশাল কুমারও বিশদভাবে আলোচনা করেন।
সভায় জরুরিভিত্তিতে আরও অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ক্রয় করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়া এজিএমসি ও জিবিপি হাসপাতালে অনতিবিলম্বে ওয়ারহাউজ নির্মাণের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব। সারা রাজ্যে কোভিড মোকাবিলায় স্বাস্থ্যকর্মীগণ সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মীরা যেভাবে নিরলস পরিশ্রম করছেন তার ভূয়সী প্রশংসা করেন স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব। তিনি আশা করেন, আগামী দিনে কোভিড পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে সর্বস্তরের কর্মীরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করবেন এবং কোভিড নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা সৃষ্টি করবেন।
রাজ্যের মানুষ কোভিড আচরণবিধি মেনে এ রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধে আন্তরিক ভূমিকা নেবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। সভায় মুখ্যমন্ত্রীর সচিব এবং শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব ডাঃ প্রশান্ত কুমার গোয়েল, পশ্চিম জেলার জেলাশাসক ডাঃ শৈলেশ কুমার যাদব, অর্থ দপ্তরের যুগ্ম সচিব ডাঃ বিশাল কুমার, স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ শুভাশিস দেববর্মা, পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধক অধিকারের অধিকর্তা ডাঃ রাধা দেববর্মা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ডাঃ চিন্ময় বিশ্বাস, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন অধিকর্তা ডাঃ সিদ্ধার্থ শিব জয়সবাল, স্বাস্থ্য দপ্তরের যুগ্ম সচিব শুভাশিস দাস, যুগ্ম সচিব সুভাষ চন্দ্র সাহা, যুগ্ম সচিব ডঃ সমিত রায় চৌধুরী, জিবিপি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ সঞ্জীব দেববর্মা, আই জি এম হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ অমিতাভ চক্রবর্তী সহ এজিএমসি ও জিবিপি হাসপাতালের উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এক প্রেস রিলিজে এই সংবাদ জানানো হয়েছে।