কোভিড- ১৯ : আগরতলা পুর নিগম এলাকায় ২২ এপ্রিল থেকে করোনা নাইট কার্ফু

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২১ এপ্রিল।। রাজ্য সরকার লক্ষ্য করেছে যে, কোভিড-১৯ মহামারি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়াচ্ছে যা জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে৷ এই মহামারি প্রতিরোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে মহামারি বিরাট আকার ধারণ করতে পারে এবং জনহানিও হতে পারে। দ্বিতীয় দফার এই সংক্রমণে ত্রিপুরায়ও প্রতিদিন নতুন নতুন সংক্রমণের সংবাদ আসছে। তাই ত্রিপুরা স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির স্টেট এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মুখ্য সচিব মনোজ কুমার আগামী ৩০ এপ্রিল, ২০২১ পর্যন্ত কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছেন।

সেগুলি হচ্ছে করোনা নাইট কার্ফু :আগরতলা পুর নিগম এলাকায় ২২ এপ্রিল, ২০২১ থেকে রাত ১০টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত কার্ফু থাকবে৷ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারণ বা অন্য কোনও আপতকালীন বিষয় কিংবা স্বাস্থ্য পরিষেবা, পুলিশ, নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ পরিষেবা, পানীয় জল সরবরাহ ইত্যাদির সাথে জড়িত ব্যক্তিগণ কার্ফুর আওতার বাইরে থাকবেন৷ এই আদেশ কার্যকর করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ পরীক্ষার স্থগিতাদেশ : কোভিডজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে চাকরি সংক্রান্ত শারীরিক পরীক্ষা ও টেস্ট স্থগিত থাকবে। তার মধ্যে জয়েন্ট রিক্রুটমেন্ট বোর্ড অব ম্যানপাওয়ার অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট দপ্তরের লিখিত পরীক্ষা ও আই আর ব্যাটেলিয়নের টেস্টও এই আদেশের আওতায় থাকবে।

জমায়েতের উপর বিধিনিষেধ : দেওয়াল পরিবেষ্টিত স্থান বা হলঘরে অনুষ্ঠিত যে কোনও সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বিনোদনমূলক বা রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে মোট বসার জায়গার ৫০ শতাংশ (সর্বোচ্চ ১০০ জন) পূরণ করা যাবে। উন্মুক্ত স্থানে মাঠের আয়তন অনুসারে ২০০ জন পর্যন্ত জমায়েতের অনুমতি দেওয়া যাবে। তবে মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্যানিটাইজার বা হ্যান্ডওয়াশের ব্যবস্থা রাখতে হবে। আয়োজকরা এসব নিয়মনীতি অনুসরণ করার জন্য উপযুক্ত সংখ্যায় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করবেন। জেলা / পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে সেজন্য আগাম অনুমতি নিতে হবে৷ সরকারি কিংবা বেসরকারি স্থানে বিবাহ / জন্মদিন ও অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১০০ জনের বেশি লোকের জমায়েত হতে পারবে না। আদাহক্রিয়া / অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ক্ষেত্রে ২০ জন পর্যন্ত লোকের জমায়েত হতে পারবে।

সিনেমা হল / মাল্টিপ্লেক্সগুলির অর্ধেক আসন খালি রেখে চলতে পারবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের বাড়িতে থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাকিদেরও অপ্রয়োজনীয় চলাচল বন্ধ রাখতে এবং ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এসব নিয়ম অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৫ অনুসারে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়াও ‘দ্য এপিডেমিক ডিজিজ কোভিড-১৯ রেগুলেশনস ২০২০’ অনুসারে বিধিনিষেধ জারি করে বলা হয়েছে যে ১) কর্মস্থল / পাবলিক প্লেস কিংবা ভ্রমণকালে বা ড্রাইভিং-এর সময় মাস্ক / মুখাবরণ ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। ২) গণ পরিবহণ ও বেসরকারি বা ব্যক্তিগত পরিবহণ ব্যবস্থায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে৷ ৩) সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দোকানগুলি চালু রাখা যাবে। দোকানে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য ভলান্টিয়ার নিয়োগ করতে হবে।

যেসব দোকানের সামনের অংশ এক মিটারের কম প্রশস্ত সেসব দোকানে এক সময়ে মাত্র একজন ক্রেতাকে ঢুকতে দেওয়া হবে। এক মিটারের বেশি এবং দুই মিটারের কম প্রশস্ত দোকানে এক সাথে দু’জন ক্রেতাকে নেওয়া যাবে৷ বাকিরা পিছনে অপেক্ষমান থাকবে। ক্রেতাবিক্রেতা উভয়কেই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতিদিন দোকান স্যানিটাইজ করতে হবে।তাছাড়াও এই আদেশে বলা হয়েছে মাস্ক পরিধান না করলে প্রথমবার ২০০ টাকা জরিমানা এবং পরবর্তী কালে প্রতিবার ৪০০ টাকা করে জরিমানা হবে। তেমনি উল্লিখিত স্থানগুলিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখলে এবং হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভঙ্গ করলে ১০০০ টাকা জরিমানা হবে বলে এই আদেশে জানানো হয়েছে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?