পিযুস মালাকার এই এক কোটি টাকার ইম্প্লেমেন্টিং এর দায়িত্বেে। কাজ করানো ও বিল সাবমিট সমস্তকিছুই উনার বগলদাবা। যে সরষে দিয়ে ভূত তাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে সেই শরিষাতেই ভূত রয়েছে। এদিকে ইঞ্জিনিয়ার পিযুস মালাকার চারটি কাজের মধ্যে তিনটি কাজ বিলম্বে শুরু করেছেন এবং একটি কাজ এখনো শুরু করেননি ।উদ্দেশ্য একটাই ।কাজ না করিয়ে রেগার লক্ষ লক্ষ টাকা নয়ছয় করা। কাজগুলো ২০২০সালের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও এখন অব্দি একটিও কাজ হয়নি।
তাই জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বাম আমলের মত রাম আমলেও একই কায়দায় রেগার লক্ষ লক্ষ টাকা নয়ছয় করার ও কামাই বাণিজ্য কায়েম রাখার একটা চক্রান্ত চলছে। এদিকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পীযূষ বাবুকে নিয়ে জনমনে ক্ষোভ রয়েছে। মাসের বেশিরভাগ দিন উনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আগরতলার ভাড়াবাড়িতে অফিস কামাই করে দিনের পর দিন কাটিয়ে দিচ্ছেন। লক্ষণীয় বিষয় হলো উনার সমস্ত ইম্প্লেমেন্টিং কাজগুলো উনি সাব ঠিকাদার রেখে অন্যকে দিয়ে কাজ করিয়ে যাচ্ছেন।স্বভাবতই কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
যে সমস্ত সিসি ব্লক নদীর ভাঙ্গন রোধে তৈরি করার কথা সেই সমস্ত সিসি ব্লক গুনগতমান একেবারে নিম্ন মানের। সাব ঠিকাদার অধিক মুনাফা করার জন্য সিমেন্ট এবং বালির ভাগ অত্যন্ত কম দিয়ে শিশি ব্লগ গুলো তৈরি করে নদীর কিনারে বসিয়ে মাটি ফিলিং এবং আবর্জনা ও কলাগাছ ভিতরে ঢুকিয়ে কাজ সেরে নিচ্ছে বলে অভিযোগ। যত সংখ্যক সিসি ব্লক বসানোর কথা রয়েছে সেই জায়গায় অতি অল্প মানের সিসি ব্লক বসিয়ে দুর্নীতি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার দুর্নীতিগ্রস্ত পীযূষ মালাকার।
সেক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম নীতি এবং গুণগত মান কোনটাই মানা হচ্ছে না।কাজগুলো এত নিম্নমানের করা হচ্ছে অল্প বৃষ্টি হলেই জলের তোড়ে সিসি ব্লগগুলো চলে যাবে, নতুবা জলে গুলিয়ে যাবেে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এলাকার সমস্যা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই।