করোনা মুক্ত হয়ে বানসালি যখনই শুটিং শুরু করার কথা জানিয়েছেন তখনই সেই শুটিং বন্ধ করার উদ্দেশ্যে স্থায়ী স্থগিতাদেশ চেয়ে পরিচালক এবং প্রযোজককে আদালতের সমন পাঠানো হয়েছিল। কারণ তার ছেলের মনে হয়েছে এই ছবিতে গাঙ্গুবাঈ এবং তাদের পরিবার সম্পর্কে ভুল তথ্য পরিবেশন করে কাহিনিকে বিকৃত করার চেষ্টা করা হয়েছে যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। তারও আগে অর্থনৈতিক ক্ষতির মধ্যে দিয়ে গেছে এই ছবি।
গত বছর এই ছবি শুরু হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে জারি হয় লকডাউন। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায় শুটিং। ‘গাঙ্গুবাঈ’-এর জন্য বানানো কোটি কোটি টাকার সেট ভেঙে ফেলতে হয়েছিল।
নানা সমস্যার গতি পথ পেরিয়ে এই ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল বড় পর্দাতেই। বর্তমানে ভারতে কভিড পরিস্থিতি যা মারাত্মক আকার নিচ্ছে, তার কথা মাথায় রেখেই ওয়েব প্ল্যাটফর্মেই এই ছবির মুক্তির কথা ভাবছেন পরিচালক।
৩০ জুলাই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও সূত্রের খবর অনুযায়ী শুধুমাত্র বিরাট অঙ্কের টাকার প্রস্তাব পেয়ে নয় করোনার কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন পরিচালক। এ দিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ বলে দিচ্ছে, শুধু ‘গাঙ্গুবাই’ নয় অক্ষয় কুমারের ‘সূর্যবংশী’ ও সালমান খানের ‘রাধে: ইউর মোস্ট ওয়ান্টেড ভাই’ও আটকে যাচ্ছে।