অনলাইন ডেস্ক, ১৯ এপ্রিল।। আবারও ফিরে আসছে গত বছরের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি। দেশে ক্রমশ বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দিল্লিতে করোনা ভাইরাসের মামলা বৃদ্ধি পেতে দেখে কেজরিওয়াল সরকার জাতীয় রাজধানীতে ছয়দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে। এই লকডাউন আজ অর্থাৎ সোমবার রাত থেকে আগামী এপ্রিল সকাল পর্যন্ত চলবে। দিল্লিতে করোনা সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশে পৌঁছেছে। রবিবার রাজধানীতে নতুন সংক্রমিত ২৫৪৬২ জন, এই পরিস্থিতি দেখে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এই লকডাউন ঘোষণা করেছেন।
সোমবার সকালে লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজালের সাথে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন যে, “দিল্লিতে আজ সোমবার সকাল দশটা থেকে পরের সোমবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত লকডাউন চলবে। এই সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি অব্যাহত থাকবে, চিকিত্সা ব্যবস্থা, খাবার ও পানীয় পরিষেবা অব্যাহত থাকবে। বিবাহও হবে, তবে ৫০ জন লোকের সাথে।
সংক্রমণের হার অনেক বেড়ে গিয়েছে। দিল্লির হাসপাতালে বেডের বিশাল সংকট রয়েছে। আইসিইউ বেড প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে। ১০০ টিরও কম আইসিইউ বেড রয়ে গিয়েছে। ওষুধের ঘাটতি রয়েছে।” দিল্লির পাশাপাশি দেশের অন্যান্য রাজ্যেও পরিস্থিতি বেশ খারাপ। গোটা দেশ প্রবল চিন্তার মুখে। আছড়ে পড়েছে দ্বিতীয় ঢেউ। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ঠিক এই সময় চলছে বেশ কিছু রাজ্যে নির্বাচনী যুদ্ধ। পশ্চিমবঙ্গ যার মধ্যে অন্যতম।
বাংলায়ও ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ভোটপর্ব শেষ হলে বাংলায়ও লকডাউন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু সেই জল্পনাকে উড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এখনই লকডাউন নিয়ে চিন্তাভাবনার কোনও কারণ নেই। নাইট কার্ফুও কোনও সমাধান নয়। এই যে দিল্লিতে লকডাউন করে দিয়েছে, মানুষের কষ্ট হবে না? মানুষকে তো একটা সময় দিতে হবে।” ভ্যাকসিনের অভাবের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীকে কড়া চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।