ম্যারাডোনার জন্য ডাকা অ্যাম্বুলেন্স ফিরিয়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসক!

অনলাইন ডেস্ক, ১৭ এপ্রিল।। মৃত্যুর ১১ দিন আগে হঠাৎ বমি শুরু হয় ডিয়েগো ম্যারাডোনার। এ সময় বাড়িতে ম্যারাডোনার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা নার্স অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন। কিন্তু সেটি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসক ও মনোবিদ। এমন তথ্যই উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে।

গত বছর নভেম্বরে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন ম্যারাডোনা। এরপর আর্জেন্টিনার পুলিশ এই কিংবদন্তি ফুটবলারের মৃত্যু নিয়ে তদন্ত শুরু করে।

মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এদের মধ্যেই রয়েছেন চিকিৎসক লিয়োপোল্ডো লুকে ও মনোবিদ অগাস্টিনা কোসাচভ। জানা যাচ্ছে, মৃত্যুর ১১ দিন আগে ম্যারাডোনা হঠাৎই বমি করতে শুরু করলে তার নার্স অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন। কিন্তু লুকে এবং কোসাচভ সেই অ্যাম্বুলেন্স ফিরিয়ে দেন।

মারাডোনার জন্য নার্সের যে দল ছিল, তার প্রধান ন্যান্সি ফ্লোরিন ও ম্যারাডোনার মেয়ে জিয়ান্নিনার মধ্যে কথোপকথন থেকে এমনটা জানা যাচ্ছে। তাদের মধ্যকার হোয়াটসঅ্যাপ কল ফাঁস হয়েছে। আর তা থেকে এমন তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।

হোয়াটসঅ্যাপে ফ্লোরিন ও জিয়ান্নিনার এই কথোপকথন ফাঁস করেছে আর্জেন্টিনার একটি টেলিভিশন চ্যানেল। সেখানে দেখা যাচ্ছে জিয়ান্নিনাকে ফ্লোরিন বলেন, ‘আপনার বাবার বাড়িতে যে নার্সরা রয়েছে, তারা বলছে উনি খুব বমি করছেন। আমার কাছে জানতে চাইছে, কী করা উচিত। মনে হয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সব কিছু দেখে নেওয়াই ভালো। আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ অ্যাম্বুলেন্স বেরিয়ে পড়েছে। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে যাবে। ’

এরপর জিয়ান্নিনা উত্তরে বলেন, ‘আমি লুকে এবং কোসাচভের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আছি। ওরা আমাকে বলল, আর সমস্যা নেই। বাবা ঠিক আছে। ঘুমোচ্ছে। ফলে কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা যাবে। ’

এরপর ন্যান্সি ফ্লোরিন বলেন, ‘যদি আপনারা মনে করেন কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা যাবে, তাহলে করুন। আমি অ্যাম্বুলেন্স ফিরিয়ে দিচ্ছি। তবু আমরা বলব, অ্যাম্বুলেন্স বাড়ি পর্যন্ত যাওয়া উচিত। কিন্তু আপনাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করব না। ’

মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর ম্যারাডোনা যখন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন, তখন যে নার্সিং দল তার দায়িত্বে ছিল, সেই দলের প্রধান মারিয়ানো পেরোনিও একই অভিযোগ করে বলেন, ‘একবার তো কিছু একটা খাওয়ার পর ম্যারাডোনার প্রচণ্ড বমি শুরু হয়। অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়।

কিন্তু হঠাৎ দেখলাম সেটা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তখন আমি নিজের গাড়ি করে ডাক্তার নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা করা যায়নি। কারণ ওরা চাইত না ম্যারাডোনাকে ডাক্তার দেখানো হোক। ’অবশ্য এই পেরোনিও পুলিশের সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?