সম্ভবত শেষ বলে তিনি ক্রিস মরিসের ওপর ভরসা করতে পারেননি।সে কারণেই নিজে স্ট্রাইক নিয়ে ছয় মেরে দলকে জেতাবেন বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু ছয় মারতে গিয়ে আউট হয়ে যান সঞ্জু। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ২২১ রান তাড়া করে শেষ পর্যন্ত মাত্র ৪ রানে হেরে যায় রাজস্থান। দারুণ এক সেঞ্চুরিতেও পরাজিত দলে থাকতে হয় সঞ্জুকে। এরপর থেকেই সঞ্জুর এক রান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের ঝড় বইতে থাকে। তার ওপর আবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ঠিক পরের ম্যাচেই ক্রিস মরিস ছয় মেরে দলকে জেতানোর পর থেকে সেই বিতর্ক আরো তীব্র আকার নিয়েছে।
যা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু। বলেন, ‘মরিসকে রান নিতে বারণ করে শেষ বলে আমার স্ট্রাইক নেওয়া নিয়ে এখন অনেক কথাই চলছে। সেটা আমি ভালো করেই জানি। ১৯তম ওভার শুরু হওয়ার আগেই আমরা দুজন (মরিসের সঙ্গে) পরিষ্কার কথা বলে নিয়েছিলাম, বেশির ভাগ স্ট্রাইক আমিই নেব। যদি চার বা ছয় না হয়, সে ক্ষেত্রে দুই রান নেব। যাতে আমি আবার স্ট্রাইক নিতে পারি। ’সঞ্জু যোগ করেন, ‘এই পুরো বিষয়টি আমার কাছে, মরিসের কাছে এবং টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে পরিষ্কার ছিল।
যে কারণে ম্যাচের পর ওর (মরিস) কাছে গিয়ে আমাকে ব্যাখ্যা দিতে হয়নি, কেন আমি ওই এক রানটা নিতে বারণ করেছি। ’ ম্যাচের পর অবশ্য সঞ্জু পাশে পেয়েছিলেন রাজস্থান কোচ কুমার সাঙ্গাকারাকে। লঙ্কান কিংবদন্তি বলেছিলেন, ‘ভালো ফর্মে থাকলে সেই ব্যাটসম্যানের উচিত দলকে জেতানোর দায়িত্ব নেওয়া। আমি খুশি যে সঞ্জু নিজের কাঁধে সেই দায়িত্ব তুলে নেয়। মাঠে আমরা এক-আধ রান এদিক ওদিক মিস করতে পারি।
তবে ক্রিকেটারদের নিজের ক্ষমতার ওপর আস্থা থাকা দরকার। ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস, ইতিবাচক মানসিকতা এবং দলের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা বেশি প্রয়োজনীয় বলে আমি মনে করি। ’ আর সঞ্জু বলছেন, ‘খেলাটি বিকশিত হচ্ছে। খুব শীঘ্রই আপনি এমন পর্যায়ে সিঙ্গেল নেওয়ার চেষ্টা করা দেখবেন না। কোনো ব্যাটসম্যান যদি কোনো নির্দিষ্ট বোলারকে নিয়ে পরিকল্পনা করে, তার স্ট্রাইকে থাকা উচিত। এখানে মোটেও ইগোর বিষয় নেই। এটা শুধু ওই মুহূর্ত ও দলের চাহিদা মেটানো দাবি। ’