স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৬ এপ্রিল।। রেশনে ডাল নেই৷ ব্যাঙ্কে ভাতা নেই৷ করোনার প্রকোপে এমনিতেই মানুষ উদ্বেগের মধ্যে কাটাচ্ছে৷ তারমধ্যে জিনিসের দামের উধর্বগতি অসংগঠিত কর্মীদের জীবন টিকিয়ে রাখা দুষ্কর করে তুলছে৷ এর মধ্যেই ডাবল ইঞ্জিনের ডিস্টার্বের কারণে মানুষ কার্যত দিশেহারা৷ দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে রেশনে ডাল দেওয়া বন্ধ৷
যেটুকু ডাল মজুত আছে অঙ্গনওয়াড়ী সেন্টারের মাধ্যমে পুষ্টি প্রকল্পে বিলি করছে সরকার৷ রেশনে কবে ডাল আসবে তা নিয়ে খাদ্য কর্তাদের কথার মধ্যেই ধোঁয়াশা৷ অনেকবারই তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে৷ এখন আবার খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে নতুন টেন্ডারের গল্প শোনা যাচ্ছে৷ কিন্তু বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, রাজ্য সরকার রেশনে ডালে আর ভর্তুকি দিতে পারবে না৷ কারণ ভাড়াঁরে মা ভবানী৷
কোষাগারে ভর্তুকি দেবার মতো টাকা নেই বলে খবর৷ বারবার দরপত্র আহ্বানের গল্প শুনিয়ে সরকার ভোক্তাদের আশার বাণী শোনালেও বাস্তব বলছে অন্য কথা৷ কেরোসিন রেশনে আটত্রিশ টাকা লিটার৷ গত জানুয়ারিতে ছিল তেত্রিশ টাকা৷ এভাবে এ গ্লাসের জল ও গ্লাসে ঢেলে সরকার কৌশলে সব ঠিক করতে চাইছে৷ ডিজেল, পেট্রোল, গ্যাস যদি দশ পয়সা করে লিটারে কমে থাকে কেরোসিনও কমার কথা৷ কিন্তু কেরোসিনের দাম প্রতি মাসে খাদ্য দপ্তর বাড়িয়ে যাচ্ছে৷ তবে কি তেল বন্ধ করার পথেই হাঁটছে সরকার? আবার বরাদ্দও কমিয়ে দিচ্ছে সময়ে সময়ে৷