স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৬ এপ্রিল।। চাকরির দাবিতে ১০৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনের রাস্তায় বসে পড়েছিলেন৷ টানা ৫১ দিন আন্দোলনের পর হঠাৎ প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে তাদের প্যারাডাইস চৌমুহনি থেকে হটিয়ে দেয়৷ দিশেহারা চাকরিচ্যুতরা আইজিএম হাসপাতাল চত্বরে বসে পড়ে৷ ১০৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের বক্তব্য সেদিন বিনা প্ররোচনায় তাদের উপর লাঠি চার্জ করে পুলিশ৷ বেশ কয়েকজন আহত হন৷ প্রশাসন উল্টো চাকরিচ্যুতদের বিরুদ্ধে মামলা করে৷
অবশেষে পুলিশের উপর আক্রমণ ও হত্যার চেষ্টার মামলায় আগাম জামিন পেলেন ১০৩২৩-র পাঁচ নেতা৷ পশ্চিম জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারপতি তাদের জামিন মঞ্জুর করেন৷ ১০৩২৩-র নেতাদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি আদালতে৷ এই কারণেই বিচারপতি গোবিন্দ দাস সংশ্লিষ্ট নেতাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন৷ শুক্রবার এই মামলার শুনানি হয়েছিল আদালতে৷ আদালতের এই রায়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস দেশা যায় ১০৩২৩ জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটির সদস্যদের চোখে মুখে৷ তাদের বক্তব্য সত্যের জয় হলো৷
আগামীদিন বৃহত্তর লড়াইয়ের জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নিতে তারা আহ্বান জানান৷ ১০৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের আন্দোলন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল রাজ্যের মানুষ৷ তারা টানা ৫১ দিন ধরে আন্দোলন করেছিল শহরের প্যারাডাইস চৌমুহনিতে৷ শেষ পর্যন্ত তারা আন্দোলনকে স্থায়ী করতে পারেনি৷ পুলিশ তাদের আন্দোলন মঞ্চ গুঁড়িয়ে দিয়েছিল৷ এরপর চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা গড়ে তুলেছিল পাল্টা আন্দোলন৷ সড়ক অবরোধকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছঁুড়ে ছিল৷ করেছিল লাঠি চার্জ৷ পাল্টা ইট পাটকেল ছুঁড়েছিল আন্দোলনকারীরা এই অভিযোগ ছিল পুলিশের৷
এই ঘটনার পর পশ্চিম থানার পুলিশ থানায় মামলা দায়ের করেছিল৷ পুলিশের অভিযোগ ছিল, তাদের আক্রমণ ও হত্যার চেষ্টা করেছিল আন্দোলনকারীরা৷ এই মামলায় পুলিশ আন্দোলনকারীদের ৫ জন নেতাকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে দাবি করেছিল৷ শুক্রবার এই মামলা ওঠে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে৷ বিচারক গোবিন্দ দাস এদিন অভিযুক্ত আন্দোলনকারীদের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন৷ কারণ আদালত প্রাথমিকভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশের করা তথ্য প্রমাণ পায়নি৷ স্বাভাবিকভাবেই আদালত তাদের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন৷