হুগলির ৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। এগুলো হল খানাকুল, জাঙ্গিপাড়া, গোঘাট, হরিপাল, আরামবাগ, ধনেখালি, পুরশুড়া, তারকেশ্বর। এছাড়া হাওড়ার ৭টি আসন হল উদয়নারায়ণপুর, জগৎবল্লভপুর, উলুবেড়িয়া উত্তর, উলুবেড়িয়া দক্ষিণ, বাগনান, শ্যামপুর, আমতা। ২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে এ ৩১টির মধ্যে ৩০টি আসনেই জয়লাভ করেছিল তৃণমূল। শুধুমাত্র আমতায় জিতেছিল কংগ্রেস। কিন্তু ২০১৬ থেকে ২০১৯, এ তিন বছরে সমীকরণ পাল্টে যায়।
২০১৯ এর লোকসভা অভ‚তপূর্ব ফল করে বিজেপি। রাতারাতি তৃণমূলের প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে আসে গেরুয়া শিবির। বাংলার মেয়ের প্রচারে জয়া বচ্চন তৃণমূলের হয়ে প্রচারে এসে নাম না করে বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করলেন জয়া বচ্চন। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ‚য়সী প্রশংসা শোনা গেল অমিতাভ জায়ার মুখে। জয়া বচ্চনের মতে, একা হাতে সব অত্যাচারের মোকাবিলা করছেন মমতা। নিজেই জানালেন, সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের অনুরোধেই বাংলায় তৃণমূলের সমর্থনে প্রচারে এসেছেন তিনি।
তৃণমূলের হয়ে প্রচার করতে গত রোববার সন্ধ্যায় কলকাতায় এসে পৌঁছেছিলেন জয়া বচ্চন। এদিন তৃণমূল ভবনে শাসক দলের তরফে তাঁকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। কেন তৃণমূলের সমর্থনে তিনি বাংলায় এলেন, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে জয়া বচ্চন বলেন, ‘আমার নাম জয়া বচ্চন, বিয়ের আগে নাম ছিল জয়া ভাদুড়ি। আমরা প্রবাসী বাঙালি, কিন্তু বাঙালি। এখানে অভিনয় করতে আসিনি, আমার নেতা অখিলেশ যাদব আমাকে বললেন তৃণমূলকে সমর্থন জানাতে এখানে আসার জন্য। এ দায়িত্ব পেয়ে আমি খুব খুশি’। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ‚য়সী প্রশংসা শোনা যায় রাজ্যসভার সাংসদের মুখে। তিনি বলেন, ‘মমতাজির জন্য ভালবাসা, শ্রদ্ধা।
কারণ একা একজন মহিলা সব ধরনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে একা লড়ছেন। মাথা ভেঙে দিয়েছে, পা ভেঙে দিয়েছে, কিন্তু ওনার হৃদয় এবং মস্তিষ্ককে ভাঙতে পারেনি ওরা। আর বাংলাকে বিশ্বসেরা করার জন্য ওনার দৃঢ়তায় চিড় ধরাতে পারেনি’। জয়া বচ্চনের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলে বাংলার আরও উন্নতি হবে, সে বিষয়ে নিঃসংশয় তিনি। একই সঙ্গে নাম না করে বিজেপিকেও নিশানা করে তিনি বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস যে কাজটা মমতাজি করতে চান সেটা উনি পুরো করবেন। বাঙালিদের ভয় দেখিয়ে কেউ কোনোদিন সফল হয়নি আর হবেও না।
আমার থেকে আমার ধর্ম কেড়ে নেবেন না। আমার গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেবেন না। যখন আমি নিজের কথা বলছি তখন সব মানুষের কথা বলছি। মমতা একা একজন মহিলা হয়ে বাংলার প্রত্যেকের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য লড়ছেন। বাংলা যা ভাবে বা করে, সেটা গোটা দেশ অনুসরণ করে’। আগামীকাল পর্যন্ত বাংলায় তৃণমূলের সমর্থনে প্রচার করবেন জয়া বচ্চন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কোনো একটি সভায় থাকার কথা রয়েছে তার। তৃণমূলের তরফে এদিন জয়া বচ্চনের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন ও মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। সাংবাদিক বৈঠকের শেষ দিকে ব্যঙ্গাত্মকভাবে ফের একবার বিজেপিকে নিশানা করেন জয়া। তিনি বলেন, যারা মমতাকে পছন্দ করেন না তাঁদের বলি লজ্জা, লজ্জা’!