স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১ এপ্রিল।। স্বচ্ছ ভারত মিশন (আরবান) আয়োজিত আই ই সি কার্যক্রমে জনসচেতনতার লক্ষ্যে রাজ্যের শহরাঞ্চলগুলিতে দেওয়াল চিত্রায়ন করা হচ্ছে৷ এই কাজে হাত লাগিয়েছেন রাজ্যের চিত্রশিল্পীগণ৷ তাদের রংতুলির স্পর্শে এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলস্বরূপ শহর যেমন ঝলমলে, উজ্জল ও সুুসজ্জিত হয়ে উঠছে তেমনি জনসচেতনতাও সৃষ্টি হচ্ছে৷ নগর উন্নয়ন দপ্তরের অধিকর্তা ড. সন্দীপ এন মাহাত্মে এই সংবাদ জানিয়ে বলেন, রাজ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছিলো৷
এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ২০টি শহরাঞ্চলের বিভিন্ন দেওয়ালে ২,৪৯,০০২ বর্গফুট জড়ে চিত্রাঙ্কন করা হয়েছে৷ রাজ্যের প্রতিটি শহরে এই কার্যক্রম আরও প্রসারিত হবে অদূর ভবিষ্যতে৷ এরফলে অনেক যুবক-যুবতী ও চিত্রশিল্পীগণ অনুপ্রাণিত হয়ে অংশ নিচ্ছেন৷ তারা বিভিন্ন ধরনের চিত্রকলা জনসমক্ষেও তুলে ধরতে সক্ষম হচ্ছেন৷ নগর উন্নয়ন দপ্তরের অধিকর্তা ড. সন্দীপ এন মাহাত্মে আরও জানান, আগরতলা পুরনিগম সহ রাণীরবাজার পুর পরিষদ, মোহনপুর পুরপরিষদ, জিরানীয়া নগর পঞ্চায়েত, ধর্মনগর পুর পরিষদ, পানিসাগর নগর পঞ্চায়েত, কৈলাসহর পুর পরিষদ, কুমারঘাট পুর পরিষদ, আমবাসা পুর পরিষদ, কমলপুর নগর পঞ্চায়েত, খোয়াই পুর পরিষদ, তেলিয়ামুড়া পুর পরিষদ, বিশালগড় পুর পরিষদ, মেলাঘর পুর পরিষদ, সোনামুড়া নগর পঞ্চায়েত, উদয়পুর পুর পরিষদ, অমরপুর নগর পঞ্চায়েত, বিলোনীয়া পুর পরিষদ, সাবম নগর পঞ্চায়েত ও শান্তিরবাজার পুর পরিষদ এলাকায় এই কর্মসূচি রূপায়িত হয়েছে৷
তিনি জানান, এই কর্মসূচিতে রাজ্যের ২০টি শহরের দেওয়ালজড়ে নানাবিধ জনসচেতনতামূলক পরিবেশবান্ধব স্লোগান ব্যবহার করা হয়েছে যার মূল বিষয়বস্তু হলো স্বচ্ছ, সুুন্দর ও শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়া৷ তাছাড়াও এ ধরনের চিত্রায়নের মাধ্যমে বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, উন্মক্ত জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ না করা, মলমূত্র ত্যাগের জন্য নিজের বাড়িতে শৌচালয় গড়া, যেখানে সেখানে থুতু না ফেলা, বাড়ির আবর্জনা নর্দমায় না ফেলা, আবর্জনা নির্দিষ্ট পাত্রে রাখা, পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য পৃথকীকরণের জন্য দু’রকমের পাত্র ব্যবহার, বর্জ্য হাস ও পুনর্ব্যবহার, বর্জ্য থেকে অর্থ উপার্জন, জল অপচয় না করা, গাছ লাগান ও প্রাণ বাঁচান এবং ত্রিপুরার বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যকে রক্ষার আবেদন জানানো হয়েছে৷ তিনি আশা প্রকাশ করেন রাজ্যের শহরাঞ্চলগুলিতে দেওয়ালজড়ে এই চিত্রায়ন কেবলমাত্র শহরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য নয় তার পাশাপাশি জনসচেতনতার জন্য এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে৷