জনগণের প্রতি তার দায়বদ্ধতা এবং কাজের প্রতি নিষ্ঠার জন্য তিনি চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দৃঢ় মানসিকতা এবং প্রবল ইচ্ছাশক্তিই দিলীপ সরকারের মত ব্যক্তিত্ব তৈরি করে৷ প্রয়াত বিধায়ক দিলীপ সরকার চেয়েছিলেন বাধারঘাট অঞ্চল সহ রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন৷ বর্তমান রাজ্য সরকার প্রয়াত বিধায়কের প্রতি সম্মান জানিয়ে সমগ্র রাজ্য সহ বাধারঘাট অঞ্চলের উন্নয়নে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন৷ কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে৷ অনুষ্ঠানে এদিন মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেব বাধারঘাট অঞ্চলে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলি রূপায়ণের তথ্য পরিসংখ্যানের মাধ্যমে তুলে ধরেন৷
তিনি জানান, বাধারঘাট বিধানসভা এলাকায় গত ৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রায় ২,৮৭২ পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে৷ এই বিধানসভা এলাকার ৭,৬৬১ জন বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পে ভাতা পাচ্ছেন৷ প্রধানমন্ত্রী মাত্র পুষ্টি যোজনায় এই বিধানসভা এলাকায় ২,৬১২ জন সুুবিধাভোগী সহায়তা পেয়েছেন৷ তাছাড়া, ১,৭১৫টি পরিবারে অটল জলধারা মিশনের মাধ্যমে পানীয়জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে৷ প্রায় ১,২৪৩টি পরিবার প্রধানমন্ত্রী উজ্জলা যোজনার মাধ্যমে উপক’ত হয়েছেন৷
টুয়েপ প্রকল্পেও এই বিধানসভা এলাকায় কাজ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বনির্ভর ত্রিপুরা গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার৷ বাধারঘাট বিধানসভা এলাকায় প্রায় ৪,২৯৮ জন ব্যবসায়ী ট্রেড লাইসেন্স করেছেন৷ যা থেকে প্রমানিত হয় ত্রিপুরার মানুষ ব্যবসা বাণিজ্যের মাধ্যমে স্বরোজগারী হচ্ছেন৷ তিনি বলেন, রাজ্যে প্রায় ১ লক্ষ ৮ হাজার অন্ত্যোদয় পরিবার রয়েছে৷ রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সকল অন্ত্যোদয় পরিবারের কোন ব্যক্তির মৃত্যু হলে তার অন্তোষ্ঠির জন্য ২০০০ টাকা প্রদান করবে৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পূবর্তন সরকারের আমলে সমগ্র রাজ্যে যে সব রাস্তা নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়নি বা সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে, বর্তমান রাজ্য সরকার ২০২২ সালের মধ্যে সেসব রাস্তগুলি নতুন ভাবে তৈরি করার লক্ষ্যে দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া শুরু করেছে৷ পাশাপাশি ২০২২ সালের মধ্যে রাজ্য সরকার সমস্ত সামাজিক ভাতাগুলির পরিমাণ ২০০০ টাকা করে দেওয়ার জন্যও উদ্যোগী হয়েছে৷ অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা বিধানসভার সদস্য মিমি মজমদার।