যেভাবে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানো হচ্ছে, নারী-শিশুসহ শয়ে শয়ে বিক্ষোভকারী মারা গিয়েছেন, তাতে উদ্বেগ বেড়েছে। প্রথমে যে বিবৃতি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, তাতে বলা ছিল, নিরাপত্তা পরিষদ পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার কথা ভাববে। সেখানে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিল। দুই দিন ধরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলে। চীন ওই কড়া ভাষা ব্যবহার করতে দিতে রাজি হয়নি। তারপর বিবৃতি কিছুটা লঘু করে দেয়া হয়। মিয়ানমারে সেনার বিরুদ্ধে রোজ বিক্ষোভ হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীরা গণতন্ত্র ফেরানোর এবং সু চি সহ অন্য আটক নেতাদের মুক্তির দাবি করছেন। কিন্তু সেনা-শাসকেরা সেই বিক্ষোভ সহিংস উপায়ে দমন করতে চাইছেন। পশ্চিমা দেশগুলো সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা করেছে, কিন্তু চীন স্থায়িত্বের যুক্তি দিচ্ছে। তারা সেনা-শাসকদের পাশেই আছে। এই অবস্থায় নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হয় গত বুধবার। মিয়ানমার নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূত বলেন, সেখানে পরিস্থিতি গৃহযুদ্ধের দিকে যাচ্ছে। পরিস্থিতি ভয়ংকর।