স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৮ মার্চ।। দোলযাত্রা একটি হিন্দু বৈষ্ণব উৎসব। বহির্বঙ্গে পালিত হোলি উৎসবটির সঙ্গে দোলযাত্রা উৎসবটি সম্পর্কযুক্ত। এই উৎসবের অপর নাম বসন্তোৎসব। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
বাঙ্গালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণের মধ্যে এইটি একটি অন্যতম। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির বা গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন।
সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়। দোলযাত্রার দিন সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এরপর ভক্তেরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং খেলেন।
দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়। দোল পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে এইদিন আবাল বৃদ্ধ সকলে ধর্মীয় রীতি মেনে রং খেলায় মেতে উঠে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সকলে সাবধানতা অবলম্বন করে রং খেলায় মেতে উঠে।
আগরতলার জয় জগন্নাথ লাফিং সেন্টারের উদ্যোগে এইদিন হোলি উৎসবের আয়োজন করা হয়। লাফিং সেন্টারের সদস্য সদস্যারা এইদিন ধর্মীয় গান সহ নৃত্যের তালে তালে রং খেলায় মেতে উঠে। একে অপরকে নানান রঙ্গে রাঙ্গিয়ে দেয়। সংবাদ প্রতিনিধের ক্যামেরায় এই চিত্র ফুটে উঠেছে।
উঠতি বয়সের যুবক যুবতীরা তাদের বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে নিজ বাড়িতেই হোলি খেলার আনন্দে মেতে উঠে। জয় জগন্নাথ লাফিং সেন্টারের সদস্যরা জানান সোমবার তাদের সেন্টার বন্ধ থাকবে তাই তারা এইদিন হোলি খেলার আনন্দে মেতে উথেছে।
অপরদিকে উঠতি বয়সের যুবতিদের বক্তব্য প্রতিবছর তারা হোলি উৎসবে রং খেলায় মেতে উঠে। তাই এই বছরও তারা বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে রং খেলার আনন্দে মেতে উঠেছে।