অনলাইন ডেস্ক, ২৪ মার্চ।। কিছুদিন আগে অপরাহ উইনফ্রের সঙ্গে আলাপচারিতায় সারা বিশ্বে তোলপাড় ফেলে দেন প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেল। বছর খানেক আগে রাজপরিবার ছেড়ে আসা হ্যারি এবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রশিক্ষণ ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিলেন।এক বিবৃতিতে ডিউক অব সাসেক্স হ্যারি নিজেই নতুন এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, হ্যারি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন তার নাম বেটারআপ। সেখানে তিনি চিফ ইমপ্যাক্ট অফিসারের পদে বসতে যাচ্ছেন। যদিও তার সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব, কাজের সময় ও বেতনভাতা সম্পর্কে পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি।
বিবৃতিতে প্রিন্স হ্যারি বলেছেন, নতুন কাজে তার লক্ষ হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আলোচনাকে সামনে নিয়ে আসা, সহযোগী ও সহনশীল সম্প্রদায় বানানো এবং সৎ ও বিপদাপন্নদের কথোপকথনের পরিবেশ গড়ে তোলা।
বেটারআপের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্সি রবিশাক্স ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে (ডব্লিউএসজে) বলেছেন, নতুন দায়িত্বে হ্যারিকে কর্মী ব্যবস্থাপনার কাজ করতে হবে না কিংবা তিনি সরাসরি তাকে জবাবদিহি করবে এমন কোনো কর্মীও পাবেন না। সানফ্রান্সিসকোর সদর দপ্তর তার কাজের জন্য উপযুক্ত বলে মনে হলে, তিনি মাঝে মাঝে সেখানে সময় কাটাবেন।
কোম্পানিটির প্রথম চিফ ইমপ্যাক্ট অফিসার হিসেবে প্রিন্স হ্যারি পণ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন কৌশলগত সিদ্ধান্ত ও দাতব্য সহযোগিতাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে মতামত দেবেন এবং জনসমক্ষে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে প্রচার চালাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে, জানিয়েছে ডব্লিউএসজে।
বহুজাতিক কোম্পানিতে চিফ ইমপ্যাক্ট অফিসার পদটি বেশ বিরল। সাধারণত এটি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেখা যায়।
গত বছরের মার্চে হ্যারি ও তার স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল রাজপরিবারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এর পর তারা কানাডায় চলে যান। পরে থিতু যুক্তরাষ্ট্রে।
সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেন, তাদের সন্তান আর্চির জন্মের আগেই রাজপরিবারের এক সদস্য হ্যারি-মেগানের অনাগত সন্তানের গায়ের রং কতটা কালো হতে পারে তা নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল। রাজপরিবারের কোন সদস্য এ প্রশ্ন করেছিলেন তা খোলাসা করেননি তারা।
বাকিংহাম প্যালেস পরে এক বিবৃতিতে ডিউক ও ডাচেস অব সাসেক্সের অভিযোগকে ‘উদ্বেগজনক’ আখ্যা দিয়ে নিজেরাই এটি খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছিল।