মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং প্রদেশের বন্দীশিবিরগুলোয় লাখ লাখ উইঘুরকে আটকে রেখেছে চীন। সেখানে বন্দীদের ওপর নির্যাতন, জোরপূর্বক শ্রমিক হিসেবে কাজ করানো, বন্ধ্যাকরণ এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ বিভিন্ন সময় প্রকাশ পেয়েছে। উইঘুর মুসলিমদের হত্যা করে তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে জাতিসংঘ। এ ঘটনাকে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ নৃশংসতার সঙ্গেও তুলনা করে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল।
চীন এগুলোকে ‘সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে পরিচালিত পুনঃশিক্ষণ কেন্দ্র’ হিসেবে বর্ণনা করে থাকে। রোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা চীনের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, তাতে চারজন ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জব্দ করা ও তাদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি অনুমোদন করা হয়েছে। চার ব্যক্তির মধ্যে শিনজিয়াংয়ের পুলিশ প্রধানও রয়েছেন। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এর পরপরই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ১০ জন ব্যক্তি ও চারটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন।