নিজের আত্মবিশ্বাসেও ভাটা পড়ে। বুঝি আমার সৌন্দর্য অন্যদের চেয়ে কমে যাচ্ছে। কিন্তু না, হতাশ হওয়ার কোনোই সুযোগ নেই। আর সেক্ষেত্রে আপনাকে রূপচর্চায় কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। আজকাল আমাদের অনেকের বাসায়ই ফ্রিজ থাকে। আর সেই ফ্রিজের ভেতরেই গোপন আছে আপনার সৌন্দর্য সুরক্ষার মন্ত্র।
আলু: যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন, তারাও ধারে কাছে ২/১টা আলু রাখতে পারেন। যদি রোদে ত্বক পুড়েই যায়, তাহলে কাঁচা আলু চাক চাক করে কেটে ত্বকে লাগান, কাঁটা-কাঁটা ভাবটা কমে যাবে।গ্রিন-টি: চা পান করতে আমরা অনেকেই অভ্যস্ত। দিনে দু-এক বেলা চা না হলে যেন চলেই না। আপনি গ্রিন-টি পোড়া ত্বকে লাগান।
এটা ত্বকের উপর প্রোটিনের একটা স্তর তৈরি করে যা পোড়া ত্বকের অস্বস্তি দূর করে। পোড়া ত্বকের ট্রিটমেন্টের জন্য একটি কাপড়, সাধারণ তাপমাত্রার (ঠান্ডা নয়) গ্রীন-টি তে ভিজিয়ে নিন। তারপর পোড়া ত্বকে চেপে চেপে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট এভাবে লাগান। প্রতি ২ থেকে ৪ ঘণ্টা পর পর রিপিট করুন।
ডালিম: ডালিম ফুলের মতো ত্বক পেতে চান, তবে ডালিমের কাছেই যান। হ্যাঁ, ডালিম এলাজিক এসিড-এর ভাল উৎস। নিয়মিত ডালিম খেলে আপনার ত্বক সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি সংক্রান্ত পোড়া থেকে রেহাই পাবে। যা আপনাকে দিবে সূর্যের আলোয় বের হওয়ার এক্সট্রা কনফিডেন্স। গরমের দিনে বেশি বেশি ডালিম খান।
স্ট্রবেরি: ‘টেনিন’ নামক উপাদানটি পুড়ে যাওয়া ত্বকের যন্ত্রণা উপশমে দারুণ সাহায্য করে। কয়েকটি পাকা স্ট্রবেরি একসঙ্গে পিষে পোড়া ত্বকে লাগান। কাজ হবেই। শশা: আমাদের অতিপরিচিত একটি ফলের নাম শশা। হাতের নাগালেই পাওয়া যায় সারা বছর। শশা সূর্যালোকে পোড়া ত্বকের যন্ত্রণা উপশম করে।
বাজারে প্রাপ্ত কেমিক্যাল মেশানো বেশিরভাগ ওষুধের চেয়ে শশা বেশি উপকারী। এমনকি সানস্ক্রিন হিসেবেও ব্যবহার করা যায় শশা। পেয়ারা: এন্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার আপনাকে বাইরের রোদে যাওয়ার জন্য চমৎকার প্রস্তুতি দেবে। একটি পেয়ারাতে পাঁচটা কমলার সমান ভিটামিন সি আছে।
আর ভিটামিন সি হলো ত্বক সারিয়ে তোলার জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি এন্টি-অক্সিডেন্ট। গরমে প্রতিদিন কমবেশি পেয়ারা খাওয়ার অভ্যেস করুন। টমেটো: আপনি যদি প্রতিদিন ৫ চামচ টমেটোর পেস্ট মাত্র ৩ মাস খেতে পারেন তবে নিশ্চিতভাবে ত্বকের সান প্রোটেকশন ২৫ শতাংশ বেড়ে যাবে। কারণ টমেটোর লাল রঙের উপাদানটি সূর্যের আলোর ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এটি আপনার চেহারায় তারুণ্যও নিয়ে আসবে।