স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৯ মার্চ।। রাজ্য সরকার গত তিন বছরে ভিশন ডকুমেন্টের অঙ্গীকারগুলি বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে বেশ কিছু দূরদর্শী পদক্ষেপ নিয়েছে৷ নতুন উদ্যমে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচিগুলি বাস্তবায়ন করছে৷
আত্মনির্ভর ভারত গড়ার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার বিভিন্ন উদ্ভাবনীমূলক উদ্যোগ নিয়েছে৷ গত তিন বছরে প্রশাসনিক কাজের গুণমান, গতি, কর্মসংস্ক’তি ও স্বচ্ছতার উন্নতির কারণে ত্রিপুরা ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য এক উপযোগী রাজ্যে পরিণত হয়েছে৷ আজ ২০২১ সালের রাজ্য বিধানসভার প্রথম অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যপাল রমেশ বৈস একথা বলেন৷
রাজ্যপাল রমেশ বৈস বিধানসভায় লিখিত বক্তব্যে বলেন, ক’ষি, উদ্যান চর্চা, মৎস্য, পশুপালনের মতো প্রাথমিক ক্ষেত্রে নানাভাবে সহায়তা দিয়ে গ্রামে বসবাসরত মানুষের স্বনির্ভরতা বাড়ানো এবং তাদের জীবনমানের উন্নতি ঘটানোর লক্ষ্যে ’মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনা’ নামে একটি নতুন প্রকল্প খুব শীঘই চালু হতে চলেছে৷
এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারেন এমন প্রত্যেক পরিবারকে ফল, সব্জি, পোল্টি, মাছ চাষ, প্রাণীপালন, ফুল চাষ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহায়তা করা হবে৷ এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৬ লক্ষ গ্রামীণ পরিবার উপক’ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷
কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শহরা’লের দোকানীরা যাতে এই পরিস্থিতি থেকে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসতে পারেন সেজন্য রাজ্যে ’মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর যোজনা’ চালু করা হয়েছে৷
কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে ক’ষি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগ প্রবৃদ্ধির হারে বিরাট পরিবর্তন এনেছে৷
২০১৭-১৮ অর্থবছরে এই ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির হার ছিলো ৬.৪ শতাংশ, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩.৯ শতাংশ৷ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আরও বেশি জমিকে জৈব চাষের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে৷ তিন বছর আগে ৬,০০০ হেক্টর এলাকা জৈব চাষের আওতায় ছিলো৷
এবছর জৈব চাষ করা হচ্ছে ২১,০০০ হেক্টর এলাকায়৷ প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মাননিধি প্রকল্পে ২,২৮,০০০ জন কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ২৭২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে৷ ২০২০-২১ খারিফ এবং রবি মরশুমে ২.৬৪ লক্ষ কৃষককে প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনার আওতায় আনা হয়েছে৷ এই ক্ষেত্রে বর্তমানে আগামী ৩ বছরে মুখ্যমন্ত্রী পুপ উদ্যান প্রকল্পে এই ক্ষেত্র থেকে ১০০ কোটি টাকা আয় হওয়ার আশা করা হচ্ছে৷
ড্রাগন ফল চাষের আওতায় ২৫ হেক্টর জমিকে আনার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ প্রথমবারের মতো রাজ্যে ৫০,০০০ ভূমিহীন বর্গাদার (যারা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে চাষ করে থাকেন এবং ভাড়াটিয়া কৃষক) ’চিফ মিনিস্টার্স বর্গাদার (ল্যাণ্ডলেস) যোজনা’-র আওতায় নাবার্ড থেকে বিশেষ ঋণ পাচ্ছেন৷
এখন পর্যন্ত ২১,৩১০ জন ভূমিহীন বর্গাদারকে ৫৯ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে৷ ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে ’চিফ মিনিস্টার্স এসুুয়র্ড ইরিগেশন প্রোগ্রাম’-র অধীনে ৬৫,৫২৯ হেক্টর ক’ষি জমিকে জলসেচের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷