এরপর মালয়েশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কই ছিন্ন করে। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এটা পুরোপুরি ওয়াশিংটনের চক্রান্ত। আমেরিকাই হলো তাদের রাষ্ট্রের শত্রু। মালয়েশিয়া এক বিশাল শত্রুতাপূর্ণ কাজ করেছে। উত্তর কোরিয়ার ওই নাগরিক দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুরে নিয়ম মেনে ব্যবসা করছিলেন। মালয়েশিয়ার সিদ্ধান্তের জন্য তারা কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রকেও এর জন্য উচিত মূল্য দিতে হবে।
মালয়েশিয়া অবশ্য এই নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। মালয়েশিয়ার শীর্ষ আদালত এর আগে জানিয়েছিল, উত্তর কোরিয়ার নাগরিক মুন চল মিয়ং-এর বিরুদ্ধে অভিযোগের পেছনে কোনো রাজনীতি নেই। তাকে আমেরিকার হাতে তুলে দেওয়া যেতে পারে। সরকার আগেই অনুরোধ মেনে মুনকে ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
মুন সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যান। কিন্তু সেখানে রায় তার পক্ষে যায়নি। ডয়চে ভেলে বলছে, ঘটনাটি এমন এক সময়ের যখন পরমাণু অস্ত্র নিয়ে আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে বিরোধ চরমে উঠেছে। আমেরিকা চাইছে উত্তর কোরিয়া যেন পরমাণু অস্ত্র না বানায়, এই বিষয়ে তাদের পরিকল্পনা বাতিল করে।