সরকারি চাকুরিতে নিয়মিত কোন পদে আউটসোর্সিং করা হচ্ছে না : মুখ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৯ মার্চ।। সরকারি চাকুরিতে নিয়মিত কোন পদে আউটসোর্সিং করা হচ্ছে না এবং ভবিষ্যতেও করা হবে না৷ আজ দ্বাদশ বিধানসভার নবম অধিবেশনে বিধায়ক আশিস কুমার সাহা আনীত বেসরকারি প্রস্তাবের উপর আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব একথা বলেন৷

বিধায়ক আশিস কুমার সাহা আনীত বেসরকারি প্রস্তাবটি ছিল: ’রাজ্য সরকার কর্ত’ক অনুমোদিত সরাসরি নিয়োগযোগ্য নিয়মিত বেতনক্রমের প্রতিটি শূন্যপদের নিযুক্তি প্রক্রিয়া ত্বরাণিত করার পাশাপাশি, এই সকল শূন্যপদ এজেন্সির মাধ্যমে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় লোক নিয়োগ না করার জন্য এই সভা ত্রিপুরা সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছে৷’

প্রস্তাবের উপর আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন আউটসোর্সিং সংক্রান্ত নোটিফিকেশন জারি হওয়ার পর পরই এ সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্টীকরণ দেওয়া হয়েছে৷ যেখানে স্পষ্টতই বলা হয়েছে সরকারি চাকুরিতে নিয়মিত পদগুলির জন্য আউটসোর্সিং করা হবে না৷

তারপরও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে যুবকদের বিভ্রান্ত করছে৷ যুবাদের জন্য দরদী হওয়া এবং তাদের ব্যাথা অনুভব করা দুয়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজনীতির জন্য রাজনীতি করা উচিৎ নয়৷ রাষ্ট্র ও মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করা উচিত৷

তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে ২০০৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত প্রতিবছর গড়ে নিয়মিত ও অনিয়মিত পদে ২,৫৩৩ জনের সরকারি চাকুরী হয়েছে৷ সেদিক দিয়ে বিবেচনা করলে বর্তমান সরকারের তিন বছরে গড়ে প্রায় ৫,২০০ জনের চাকুরী হয়েছে৷ আরও ১১ হাজারের উপর শূন্যপদে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে৷

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন বর্তমান সরকারের শাসনকালে কর্মসংস্থানের সংস্থাম পাল্টে গেছে৷ গত ৩ বছরে বিকল্প কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ১ লক্ষের উপর৷ রাজ্যের যুব সম্পদায় কর্মপ্রার্থী হওয়ার চাইতে এখন কর্মসংস্থানের সুুযোগ সৃষ্টি করছেন৷ এটা প্রমাণ করে এ রাজ্যের যুবকদের মানসিকতা বদলাচ্ছে৷

মুখ্যমন্ত্রী বলেন,  বর্তমান সরকার কেন্দ্র নির্ভরশীল রাজ্যের তকমার বাইরে গিয়ে স্বয়ংসম্পর্ণ রাজ্য হিসাবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে৷ বেসরকারি প্রস্তাবটি উত্থাপন করে বিধায়ক আশিষ সাহা বলেন, নিয়মিত সরকারি পদগুলোতে আউটসোর্সিং ব্যবস্থা চালু হলে নিয়োগপ্রাপ্তদের সরকারের কাজের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা থাকবে না৷

তাছাড়াও প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার, বিধায়ক সুুদীপ রায় বর্মণ, বিধায়ক রতন চক্রবর্তী, বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস, বিধায়ক রি’ৎ দাস৷

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?