বাইডেনের এমন মন্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্য মস্কো বুধবার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনোভকে ডেকে পাঠিয়েছে তারা। দুই দেশের সম্পর্কের যেন ‘অপূরণীয় ক্ষতি’ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত গোয়েন্দা প্রতিবেদনে গত মঙ্গলবার দাবি করা হয়, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে গত বছরের নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর প্রচেষ্টায় অনুমোদন দিয়েছিলেন। প্রতিবেদনটি প্রকাশের একদিন বাদে বাইডেন অমন মন্তব্য করেন। মার্কিন সরকারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচনে বিজয়ী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ‘বিভ্রান্তিমূলক এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ’ ছড়িয়েছিল মস্কো।
তবে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলে বিদেশি কোনো সরকারের হাত ছিল না বলেও জানানো হয়। এতে বলা হয়, রাশিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়িয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে আস্থা মুছে ফেলার জন্য গুজব ছড়াতে প্রচারণাও চালানো হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মিডিয়া, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং ট্রাম্পের মিত্রদের কাছে বাইডেন বিরোধী বক্তব্য ছড়িয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ট্রাম্পকে পরাজিত করেন এবং গত ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণ করেন। প্রতিবেদনে বলা হয় যে, রাশিয়া যখন ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত করতে কাজ করছিল, ইরান তখন তার সমর্থন দুর্বল করতে ‘বহুমাত্রিক গোপন প্রভাব প্রচারণার’ কাজ করছিল।