কাজ শুরুর পর থেকেই বিজেপি কৈলাসহর মন্ডলের কিছু ঘনিষ্ঠ যুবকরা সিদ্ধার্থ দেকে এক লক্ষ টাকা দেবার জন্য চাপ দিচ্ছিল। এমনকি টাকা না দিলে প্রাননাশেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে ঠিকাদার সিদ্ধার্থ দে জানান। তবে ঠিকাদার তাদেরকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন টাকা দেবেন না।প্রতিদিনকার মতো বৃহস্পতিবারও লক্ষীপুর গ্রামে কাজের সাইডে ঠিকাদার সিদ্ধার্থ দে যাবার পর হঠাৎ করে মন্ডল ঘনিষ্ঠ কিছু যুবকরা গিয়ে ঠিকাদার সিদ্ধার্থকে বলে টাকা এখনই দিতে হবে । সিদ্ধার্থ প্রত্যুত্তরে বলেন যে, টাকা দিতে পারবেন না। এই কথা বলার পর ঠিকাদার সিদ্ধার্থকে বেধড়ক মারধর করে। ঘটনার খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
কর্তব্যরত চিকিৎসক পাপিয়া ২৪ঘন্টর মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতিনা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র রেফার করা হবে।ঘটনার খবর পেয়ে বিজেপি দলের রাজ্য কমিটির সদস্য বিধান দাস, বিজেপি নেতা প্রশান্ত দে, প্রীতম পাল সহ আরও অনেকে হাসপাতালে ছুটে আসেন। উল্লেখ্য, ঠিকাদার সিদ্ধার্থ দে এবং উনার বাবা মানিক চন্দ্র দে এবং মা মুক্তা দে ২০১৬ সাল থেকে বিজেপি দলের পৃস্টা প্রমুখ হিসেবে কাজ করে আসছেন। আক্রান্ত ঠিকাদার জানান তিনি আক্রমণকারীদের চিনতে পেরেছেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অবিলম্বে আক্রান্ত কারীদের গ্রেফতারের দাবী করা হয় ।ঠিকাদারি কাজ নিয়ে এভাবে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় মারপিঠের ঘটনায় গোটা কৈলাসহরে তীব্র আতংক বিরাজ করছে।