ইতিহাস লিখলেন ভারতীয় ফেন্সার ভবানী

অনলাইন ডেস্ক, ১৬ মার্চ।। ভারতীয় ক্রীড়া ইতিহাসে নতুন মাত্রা যোগ করলেন ২৭ বছরের ভবানী দেবী। চেন্নাই কন্যা দেশটির প্রথম ফেন্সার হিসেবে অলিম্পিকে খেলার ছাড়পত্র অর্জন করলেন। আসছে টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেবেন ভবানী। হাঙ্গেরিতে ফেন্সিং বিশ্বকাপের মাঝেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসরে খেলার ছাড়পত্র পান তিনি। এর আগে ভারতের কোনো ফেন্সার অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেননি।

ভবানীর উঠে আসার গল্পটাও প্রেরণার। একেবারে সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসে এখন অলিম্পিকে পা ফেলার অপেক্ষায় তিনি। তার বাবা পুরোহিত। সামান্য আয়ে ফেন্সিংয়ের মতো ব্যয়বহুল ইভেন্টে অংশ নেওয়াটা কষ্টসাধ্য বিষয় ছিল। কিন্তু ভবানীর জেদ, একাগ্রতা, ভালোবাসা আর সংকল্পের জেরে শেষ পর্যন্ত সব বাধা টপকে অলিম্পিকের দরজা খুলে গেছে তার সামনে। এর আগে ৮ বার জাতীয় ফেন্সিংয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ভবানী। কিন্তু অলিম্পিকের ছাড়পত্র কোনোবার পাননি। এ বার করোনার মাঝেও নিজের প্রস্তুতিতে কোনো কমতি রাখতে চাননি।

নিভৃতে ট্রেনিং চালিয়ে গিয়েছেন, যার ফল পেলেন হাতেনাতেই। খেলাধুলার পাশাপাশি পড়াশোনাতেও বেশ ভাল চেন্নাইয়ের তরুণী। মেধাবী ছাত্রী হিসেবে তার সুনাম রয়েছে। চেন্নাইয়ের সেন্ট জোসেফ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশোনা করেছেন। ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড় তার আইডল। দ্রাবিড়ের অ্যাথলেটিক মেন্টরশিপ প্রোগ্রামের সাহায্য পেয়েই নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছেন ভবানী। দ্রাবিড়ের এই সংস্থা অ্যাথলিটদের নানা ভাবে সাহায্য করে থাকে। অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি ভবানী, ‘এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। অনেক পরিশ্রমের পর এই ফল পেয়েছি। এই মুহূর্তটার জন্য সেই কবে থেকে অপেক্ষা করে ছিলাম। গত এক বছর ধরে, বিশেষত লকডাউনের সময় আমি অলিম্পিককে লক্ষ্য নিয়েই নিজেকে তৈরি করেছি। অবশেষে নিজেকে মুক্ত লাগছে।’

 

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?