পাশাপাশি টালিগঞ্জে অরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বাবুল সুপ্রিয়র মতো ‘হেভিওয়েট’দের লড়াই ঘিরেও আগ্রহ তুঙ্গে। বলা হচ্ছে, রাজনীতির ময়দানে তুলনামূলক ভাবে ‘নতুন’দের ভেবেচিন্তেই দল টিকিট দিলেও তাদের অনেকে নিজেরাই জানতেন না, কোন কেন্দ্রের প্রার্থী হবেন। বেহালা পূর্বের বিজেপি প্রার্থী অভিনেত্রী পায়েল সরকার বলেন, ‘‘কোন কেন্দ্র থেকে লড়ব, সে ব্যাপারে আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করা হয়নি। তবে বেহালার মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রের দায়িত্ব নিশ্চয়ই ভেবেচিন্তেই দেওয়া হয়েছে।’’
হাওড়ার শ্যামপুর থেকে প্রার্থী হয়েছেন অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী, যিনি মাত্র কয়েক দিন আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। প্রার্থী হয়েই নির্বাচনের হোমওয়ার্ক শুরু করে দিয়েছেন তিনি। ‘‘আমার বাবা ও মায়ের দিকের বেশ কিছু আত্মীয় থাকেন ওই এলাকায়। আমি যে টিকিট পাব, সেটা আগে থেকে জানতাম না। দায়িত্ব পাওয়াটা সম্মানের,’’ বলছেন তনুশ্রী। জানালেন, গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার সময়েই তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন বন্ধু মিমি চক্রবর্তী ও নুসরাত জাহান।
তবে নির্বাচনে লড়ার প্রসঙ্গে তাদের সঙ্গে আর কোনো কথা হয়নি তনুশ্রীর। তিনি টিকিট পেতে পারেন, এমনটাই শোনা যাচ্ছিল। বিজেপি হতাশ করেনি যশ দাশগুপ্তকে। হুগলির চণ্ডীতলা থেকে বিজেপির হয়ে দাঁড়াচ্ছেন যশ। সদ্য রাজনীতিতে পা রাখা অভিনেতার কথায়, ‘‘চণ্ডীতলা এলাকার মানুষদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার কথা শুনেছি। ক্ষমতায় এলে সেই সমস্যার সুরাহার চেষ্টা করব প্রথমে।’’ সোনারপুর দক্ষিণ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যখন খবর পেলেন অঞ্জনা বসু, তখন তিনি খড়্গপুরে, প্রচারে। খড়্গপুর থেকে প্রার্থী হয়েছেন হিরণ, সে ঘোষণা আগেই হয়েছে। বিজেপি-র সম্পূর্ণ প্রার্থীতালিকা এখনো প্রকাশিত হয়নি। অন্য দিকে তৃণমূল ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে।