অনলাইন ডেস্ক, ১৪ মার্চ।। মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর লুকিয়ে থাকা রাজনীতিবিদরা সামরিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে গিয়ে শনিবারই কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
লুকিয়ে থাকা রাজনৈতিকদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটির প্রধান মাহন উইন খিয়াং থান সেনা অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘এটা জাতির জন্য সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন মুহূর্ত, তবে খুব তাড়াতাড়ি আলোর দেখা পাওয়া যাবে। ’
একদল আইন প্রণেতাকে নিয়ে লুকিয়ে রয়েছেন খিয়াং থান, যারা গত মাসের অভ্যুত্থান মেনে নেননি। তারা নিজেদের মিয়ানমারের বৈধ সরকার বলে দাবি করছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের আগে ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের নেত্রী অং সান সু চিসহ বহু নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে সামরিক জান্তা।
তবে এনএলডির যে এমপিরা গ্রেপ্তার এড়াতে পেরেছেন, তারা পালিয়ে নতুন একটি গ্রুপ তৈরি করেছেন। ‘কমিটি ফর রিপ্রেজেন্টিং পাইডুংসু হলত্তু (সিআরপিএইচ)’ নামের ওই গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন খিয়াং থান। মিয়ানমারের বৈধ সরকার হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করছে সিআরপিএইচ।
এক ফেসবুক বার্তায় খিয়াং থান বলেছেন, ‘এটা এমন একটা সময়, যখন অন্ধকারে বিরুদ্ধে আমাদের নাগরিকদের লড়াই করার ক্ষমতার পরীক্ষা হচ্ছে। ’
তিনি বলেন, ‘অতীতে আমাদের মধ্যে বিভেদ থাকলেও এখন অবশ্যই আমাদের হাতে হাত ধরে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। ’
সিআরপিএইচকে একটি অবৈধ গ্রুপ বলে মনে করে সামরিক বাহিনী। তারা সতর্ক করে দিয়েছে, এই কমিটিকে যারা সহায়তা করবে, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হবে।
মিয়ানমারে গত নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে বলে সামরিক বাহিনী দাবি করলেও তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের দ্বিমত রয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ওই নির্বাচনে কোনো কারচুপি হয়নি।
অভ্যুত্থানের পর থেকেই বিক্ষোভ দমনে সহিংস পন্থা নিয়েছে সামরিক বাহিনী। এতে অনেক মানুষ এর মধ্যেই নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এর নিন্দা জানিয়েছে।