স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১২ মার্চ।।৪২তম পর্যায়ে প্রায় সাড়ে আট হাজার মানুষকে আইজিএম হাসপাতালে এ পর্যন্ত কোভিডের টিকাকরণ হয়েছে বলে জানালেন সিএমও দেবাশিস দাস৷ প্রতিদিন দুইশো মানুষকে টিকাকরণের আওতায় আনা হচ্ছে বিনামূল্যে৷ যদিও আইএলএস হাসপাতালে করোনাটিকার দাম আড়াইশো টাকা৷ রাজ্যের আইএলএস হাসপাতাল একটি বেসরকারি সংস্থা৷
রাজ্যে বর্তমান পর্যায়ে বিশেষতঃ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় করোনা টিকা করণে তেমন অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না৷ কারণ সরকার ৪৫ বছর বয়স থেকে ৬৭ বছর বয়সীদের এই টিকা বিনামূল্যে দিচ্ছে৷ তবে যেসব শুধুমাত্র রবিবার বাদ দিয়ে বাকি সবদিন এই টিকা প্রাথমিকতার ভিত্তিতে দেওয়া হচ্ছে বলে সিএমও জানান৷
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকার যতটুকু টিকাকরণ হয়েছে বলে দাবি করছে ততটুকু সাফল্য সরকার পাচ্ছে না৷ পত্রপত্রিকায় বা রেডিও, টিভিতে বিজ্ঞাপন দিলেও করোনা টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়ে গেছে৷ করোনা টিকা নেওয়া কেন জরুরি সেটাই সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে উঠতে পারেনি স্বাস্থ্য দপ্তর৷
আরেকটি সমস্যা হলো সারাদিন দাঁড়িয়ে থেকে, উচ্চ রক্তচাপের রোগী বা ডায়াবেটিস রোগীদের নানা সমস্যায় পড়তে হয় টিকা নিতে গিয়ে৷ স্বাস্থ্য দপ্তর হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে বসার জায়গারও ব্যবস্থা করতে পারেনি৷ নানাহ কারণে করোনা টিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনাগ্রহ৷
সরকার যদি ক্লাব, সামাজিক সংস্থা, প্রাইমারি হেলথ সেন্টারগুলিকে এই কর্মকাণ্ডে জড়িত করতে পারত তাহলে যারা বয়োবৃদ্ধ বা শারীরিক কারণে হাঁটতে পারেন না তারা কাছাকাছি কোন সেন্টারে গিয়ে এই টিকা নিতে পারত৷