ফুলকপিতে যে পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে তা কালো কচুশাকের চেয়ে প্রায় দেড় গুণ, সবুজ কচুশাকের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ, লালশাকের চেয়ে দ্বিগুণ, কলমিশাকের চেয়ে ৬ গুণ, পুঁই ও পাটশাকের চেয়ে ৭ গুণ, পালং ও ডাঁটাশাকের চেয়ে ৮ গুণ, মুলাশাকের চেয়ে ২৫ গুণ ও গরুর দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি।ফুলকপির কচি পাতাও পুষ্টিতে ভরপুর।
এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা সবুজ কচুশাকের চেয়ে ৪ গুণ, ডাঁটা শাকের চেয়ে দেড় গুণ, কলমিশাকের চেয়ে ১০ গুণ, মুলাশাকের চেয়ে ১২ গুণ ও পালংশাকের ৫ গুণ বেশি। এছাড়া ফুলকপির ডাঁটায়ও রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম।
ফুলকপির গুণাগুণ:
– ফুলকপিতে রয়েছে দাঁত-মাড়ির উপকারী ক্যালসিয়াম ও ফ্লুরাইড। নিয়মিত ফুলকপি খেলে অকালে দাঁত লালচে হয়ে যাওয়া ও দাঁতের মাড়ি দুর্বল হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
– ফুলকপি খেলে দাঁতের উজ্জ্বলতা বাড়ে। বাড়ন্ত শিশুদের দাঁতের পূর্ণ বিকাশের জন্য ফুলকপির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
– ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় ফুলকপি খাওয়া ভালো। এতে সর্দি, হাঁচি, কাশি, জ্বর জ্বর ভাব, সারা শরীরে ব্যথা ভাব, নাক দিয়ে পানি পড়া, ঠান্ডায় কান বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দূর হয়।
– ফুলকপিতে উপস্থিত উচ্চমাত্রাসম্পন্ন আয়রন রক্ত তৈরি, গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য, বাড়ন্ত শিশু ও অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রমী মানুষের জন্য অত্যান্ত জরুরি।
– ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন ‘বি’ ও ‘সি’ জিহ্বায় ঘা হওয়া, তালুর চামড়া ওঠা বা ছিলে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
– ফুলকপিতে রয়েছে দেহ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আমিষ।
– ফুলকপি স্তন ক্যানসার, কোলন ও মূত্রথলির ক্যান্সারের জীবাণুকে ধ্বংস করে এই সবজি। ক্যান্সারের জীবাণুকে দেহ থেকে বের করে দেওয়ার ক্ষেত্রে ফুলকপির যথেষ্ট অবদান রয়েছে।
সতর্কতা: ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ ও পটাশিয়াম রয়েছে। তাই যারা কিডনির জটিলতায় ভুগছেন তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে ফুলকপি খাবেন।