আরাকান আর্মিকে ‘সন্ত্রাসী তালিকা’ থেকে বাদ দিয়েছে মিয়ানমারের সেনা

অনলাইন ডেস্ক, ১১ মার্চ।। সমঝোতার পর রাখাইনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মিকে (এএ) ‘সন্ত্রাসী তালিকা’ থেকে বাদ দিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। রয়টার্স জানিয়েছে, গোষ্ঠীটি হামলা চালানো বন্ধ করেছে এবং দেশজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে রাজি হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সৃষ্ট বিক্ষোভ সামাল দিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে প্রায় প্রতিদিনই সংগ্রাম করতে হচ্ছে, এর মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত নিল দেশটির সামরিক জান্তা। আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করছে।

গত দুই বছরে বিদ্রোহী এ গোষ্ঠীটি মিয়ানমারের বিদ্রোহী বাহিনীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সমীহ জাগানো নাম হয়ে উঠেছে। গত বছর সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) দলীয় সরকার আরাকান আর্মিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল।

আরাকান আর্মি নভেম্বরে সাময়িক অস্ত্রবিরতি করার বিষয়ে সম্মত হয়েছিল। সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ পড়া নিয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলেও গোষ্ঠীটি সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

আরাকানিদের বেশির ভাগই থেরবাদী বৌদ্ধ। এটাই মিয়ানমারের মূল ধর্ম। উপকূলীয় রাখাইন প্রদেশ অতীতে স্বাধীন আরাকান রাজ্য ছিলো। ১৮ শতকে বার্মিজদের আগ্রাসনে অঞ্চলটির সার্বভৌমত্ব হারায়। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে  রাজ্যের সার্বভৌমত্ব হারানোর সেই বার্ষিকী পালন করে স্থানীয়রা।

সেই আন্দোলনে পুলিশ গুলি চালালে হতাহতের ঘটনা ঘটে।   আন্দোলনের পরই রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে প্রদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল আরাকান ন্যাশনাল পার্টির প্রধানসহ দুজন অধিকারকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে এখনো বিচার চলছে।   অনেক নৃগোষ্ঠী রাখাইন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ২০১৫ সালের নির্বাচনে এএনপির প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পেলেও ২০১৬ সালে সু চি নেতৃত্বধীন এনএলডি সরকার তাদের নিজস্ব মুখ্যমন্ত্রীকে সেখানে নিয়োগ দেয়।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?