-এইসময়ে, আনন্দবাজার, ডয়েচে ভেলে রাস্তায় তাঁর গাড়ি ছেঁকে ধরেন সাংবাদিকরা। তাঁদের মমতা বলেন, ‘‘ভিড়ের মধ্যে ৪-৫ জন বাইরে থেকে ঢুকে পড়েছিল। ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় আমাকে। ইচ্ছাকৃত ভাবে ধাক্কা মারা হয়। এর পিছনে ষড়যন্ত্র ছিল।’’ পড়ে গিয়ে পা ফুলে গিয়েছে বলেও জানান মমতা। গাড়ির দরজা খুলে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে বলেন, ‘‘দেখো কিতনা ফুল গয়া।’’ ঘটনার সময় স্থানীয় পুলিশের কেউ ঘটনাস্থলে ছিল না বলেও অভিযোগ করেন মমতা।
বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত নন্দীগ্রামে থাকার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কলকাতায় ফিরে দলের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করার কথা ছিল। কিন্তু আহত মমতাকে আপাতত কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে মমতাকে। এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হবে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মনোনয়নপত্র দায়েরের পর নন্দীগ্রামের রানিচকে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে ফেরার সময় গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তিনি মানুষের সঙ্গে কথা বলছিলেন । আচমকা কয়েকজন ধাক্কা মারেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ধাক্কায় গাড়ির দরজা বন্ধ হয়ে মুখ থুবড়ে পড়েন তিনি। তার বাঁ পায়ে গুরুতর চোট লেগেছে। মুখ থুবড়ে পড়ায় হাতে এবং মাথাতেও ব্যথা পেয়েছেন তিনি। বেশ কিছুটা রাস্তা আসার পর যন্ত্রণায় এতটাই ছটফট করতে থাকেন, যে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে পাঁজাকোলা করে তুলে গাড়ির পিছনের সিটে নিয়ে আসেন।