অনলাইন ডেস্ক, ৪ মার্চ।। ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে ‘অপহরণ’ করা হয়েছিল। আর সেটা করেছিলেন তার আইনজীবী মাতিয়াস মোরলা। এমনই দাবি খোদ ম্যারাডোনার সাবেক স্ত্রী ক্লদিয়া ভিল্লাফানের।
ভিল্লাফানেকে ১৯৮৯ সালে বিয়ে করেন ম্যারাডোনা।২০০৩ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জেতানোর সময়ও ম্যারাডোনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ভিল্লাফানের।
ক্লদিয়া ভিল্লাফানের গর্ভে জন্ম নেয় ম্যারাডোনার দুই কন্যা দালমা ও জিয়ানিন্না।
বিশ্বকাপজয়ী তারকার সাবেক এই স্ত্রী মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ফোন করেন। যেখানে একটা অনুষ্ঠানে দেখা যায় মাতিয়াস মোরলার আইনজীবী মাউরিকিও ডি অ্যালেসানদ্রোকে।
ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর থেকেই তার পরিবারের, বিশেষ করে দুই মেয়ে দালমা ও জিয়ান্নিনার অভিযোগের তীর মোরলার দিকে।
সেই মোরলার আইনজীবীকে পেয়ে দালমা-জিয়ান্নিনার মা বলেন, ‘তিনি আমাকে সিনেমার খারাপ চরিত্রগুলোর মতো দেখাতে চায়। আমি সত্যিই এটি নই, সে (ডি অ্যালেসানদ্রো) জানে। তিনি এমন একজন ব্যক্তিকে রক্ষা করছেন যিনি ডিয়েগোকে (ম্যারাডোনা) অপহরণ করেছিলেন। ’
ম্যারাডোনার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও চমকপ্রদ তথ্য দেন ভিল্লাফানে, ‘একটি মামলার কারণে আমি তার (ম্যারাডোনা) ওপর রেগে ছিলাম। কিন্তু পরে ঠিকই আমাকে দেখে সে জড়িয়ে ধরেছে। আমার সঙ্গে নেচেছে। এটা কেউ জানত না। ’
‘আমি ডিয়েগোর সঙ্গে কথা বলতাম। যদিও আমরা তা প্রকাশ্যে আনিনি। আমাদের মধ্যে মামলা ছিল। আমরা সবকিছু খুব ভালোভাবে ভাগ করে নিতে জানতাম। ’
মোরলা ও ম্যারাডোনার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকাদের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ ছিল পরিবারের। ভিল্লাফানে মোরলাসহ চিকিৎসায় অবহেলায় জড়িতদের জেল দাবি করেছেন।