স্টাফ রিপোর্টার, পেঁচারথল, ২ মার্চ।। মাংস, দুধ ও ডিম উৎপাদনে রাজ্য দ্রত স্বয়ম্ভরতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷ রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশের লক্ষ্যে সরকার উন্নয়নের প্রাথমিক ক্ষেত্রগুলিতে সরকার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে৷
আজ পেঁচারথল ব্লকের কড়ইছড়া ভিলেজের কামদেবছড়া এস বি স্কুল মাঠে এক ভার্চয়াল অনুষ্ঠানে শূকরের মাংস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের শিলান্যাস করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব একথা বলেন৷ পিপিপি মডেলে উত্তর-পূর্বা’লে এটাই প্রথম শূকরের মাংস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র৷ এই প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রটি স্থাপন করতে ব্যয় হবে ৪ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা৷ অত্যাধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এখানে শূকরের মাংস প্রক্রিয়াকরণ করা হবে৷
শিলান্যাস অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল পর্ষদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উন্নয়নের দিশা দেখাচ্ছেন৷ ত্রিপুরায় এখন যে উন্নয়ন চলছে এবং কড়ইছড়া ভিলেজে যে শূকরের মাংস প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে এজন্য কাউকে আন্দোলন করতে হয়নি৷ রাজ্যের সার্বিক অর্থনৈতিক বিকাশের লক্ষ্যে সুুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়েই কড়ইছড়া ভিলেজে এই প্ল্যান্ট তৈরি করা হচ্ছে৷ এই প্ল্যান্ট হলে পেঁচারথল এলাকার মানুষের রোজগারের সুুযোগ সৃষ্টি হবে৷
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাজারে শূকরের মাংসের চাহিদা রয়েছে৷ এজন্য নতুন সরকার শূকরের ছানা উৎপাদনের জন্য সরকারি সহায়তা ও উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে নতুন ৭৫টি বেসরকারি সংস্থা তৈরি করেছে৷ এরফলেও কর্মসংস্থানের সুুযোগ তৈরি হচ্ছে৷ ফলে এই সংস্থাগুলি নিজেরা যেমন রোজগার করছে তেমনি অন্যদেরও রোজগারের ব্যবস্থা করছে৷ আগে তা কখনও ভাবাই যেতো না৷
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, শূকর প্রজনন বৃদ্ধি করার জন্য দেবীপুর শূকর ফার্মে একটি কৃত্রিম প্রজননের ল্যাব তৈরি করা হচ্ছে৷ এছাড়া দুধ উৎপাদন বাড়াতে ইতিমধ্যে বামুটিয়ায় আরেকটি ৪০ হাজার লিটার ক্ষমতা সম্পন্ন ডেয়ারি ইউনিটের শিলান্যাস করা হয়েছে৷ আগামী এক বছরে এই প্রজেক্টের কাজ শেষ হবে৷ এরজন্য ব্যয় হবে ২২ কোটি টাকার উপর৷
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার জনজাতি অংশের মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে৷ জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পে এবং কেন্দ্রীয় ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পে জনজাতি অংশের মানুষের আর্থসামাজিক মানোন্নয়নে অগ্রাধিকার দিয়েছে৷ অনুষ্ঠানে প্রাণী সম্পদ বিকাশমন্ত্রী সান্তনা চাকমা বলেন, ত্রিপুরাকে আত্মনির্ভর করতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে৷
https://www.facebook.com/watch/?v=2994999877447860
তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নামে রাজ্যে যে ২০টি প্রকল্প চালু হয়েছে এগুলির সঠিক বাস্তবায়ন হলে ত্রিপুরা অনেক দূর এগিয়ে যাবে৷ শিলান্যাস অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের অধিকর্তা ড. কে শশী কুমার৷ সভাপতিত্ব করেন কড়ইছড়া ভিলেজ কমিটির চেয়ারম্যান লক্ষী কুমার চাকমা৷
উপস্থিত ছিলেন পেঁচারথল বি এ সি-র চেয়ারম্যান সজল চাকমা, লালজরি বি এ সি-র চেয়ারম্যান সুুধাংশু নাথ, জেলাশাসক তাপস রায় ও পুলিশ সুুপার রতিরঞ্জন দেবনাথ৷