জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ইরান একের পর এক চরম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। একদিকে যেমন দেশে ইউরেনিয়ামের মজুত বাড়ানো হয়েছে, তেমনই পরমাণু কেন্দ্রগুলোর ছবি জাতিসংঘকে দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, ২০১৮ সাল থেকে আমেরিকা তাদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। পরমাণু চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনায় রাজি বাইডেনের প্রশাসন। কিন্তু ইরানের ওপর থেকে এখনই নিষেধাজ্ঞা তোলার ব্যাপারে প্রস্তুত নয় তারা। বরং আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান সূত্রে পৌঁছাতে চায়।
এ বিষয়ে ইরানের স্পষ্ট বক্তব্য, আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা না তোলা পর্যন্ত তারা কোনো রকম আলোচনায় যাবে না। রবিবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় ইরানও আগ্রহী। কিন্তু তার আগে নিষেধাজ্ঞা তুলতে হবে। ইরান আলোচনায় রাজি না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই হতাশ ওয়াশিংটন। তবে বাইডেন সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, আবার আলোচনার জন্য প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।
আলোচনার মাধ্যমেই জট কাটাতে হবে। ইরান জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিক জোসেপ বরেলের সঙ্গে তাদের আলোচনা জারি থাকবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, রাশিয়া, ফ্রান্সের মতো দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনায় তাদের আপত্তি নেই। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে তাদের আপত্তি। এ দিকে পরমাণু চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আগেই চাপ তৈরি করেছিল ইইউ। এখন দেখার বিষয়, তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে।