স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৭ ফেব্রুয়ারী।। কাজ ও খাদ্যের দাবিতে রাজপথ কাঁপিয়ে মিছিল করলো বামেদের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই এবং টিওয়াইএফ৷ শনিবার এই দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজপথ কাঁপিয়ে মিছিল করলেও এই মিছিল যেন পাহাড় ভোটে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে কিছুটা হলেও ব্যর্থ হয়েছে৷ মিছিলের আগাগোড়াই ছিলো অউপজাতি অংশের লোকেদের লক্ষ্যণীয় উপস্থিতি৷
জনজাতি অংশের লোকেদের উপস্থিতি ছিলো একেবারেই সামান্য৷ মাত্র তিন বছরের মাথায় গ্রাম পাহাড়ের মূল অস্ত্র টিওয়াইএফ এবং জিএমপি যে একেবারেই ফঁুরিয়ে গেছে তা কিন্তু শনিবারদিন প্রত্যক্ষ করলো রাজধানীবাসী৷ অথচ যে টিওয়াইএফ একটা সময় গোটা পাহাড়ের যুব সম্প্রদায়কে আখড়ে রেখে এডিসি ভোটে ২৮ শে ২৮ আসন দখল করার ক্ষমতা রাখতো শনিবারদিন সেই টিওয়াইএফকে দেখতে গেলো না রাজধানীবাসী৷
ফলে স্বভাবতই প্রশ্ণ উঠছে বামেদের অঙ্গ সংগঠন জিএমপি এবং টিওয়াইএফের অস্তিত্ব কি মুছে যেতে চলেছে৷ যে টিওয়াইএফ এবং জিএমপির পুরো দায়িত্বে ছিলেন জিতেন চৌধুরি, রাধাচরণ দেববর্মা, রঞ্জন দেববর্মা প্রমুখরা৷ তারা কিন্তু শনিবারদিন নিজেদের শক্তির জানান দিতে পারলো না রাজধানীতে৷
রাজনৈতিক মহলের অভিমত, শনিবারদিন যে পরিমাণ জনজাতি অংশের লোকজনকে হাজির করিয়েছেন রাজধানীর সমাবেশে তাতে করে পাহাড় ভোটে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিকে টেক্কা দিতে পারবে বামফ্রন্ট তা নিয়ে কিন্তু নানা প্রশ্ণ উঠছে বিভিন্ন মহলে৷ আবার কোনো কোনো মহলের অভিমত, এই মুহূর্তে ‘পুইলা জাতি ওল পার্টি’ এই আদর্শকে সামনে রেখে জনজাতি অংশের লোকেরা হয়তোবা মহারাজার তিপ্রা মথার দিকেই ঝঁুকে রয়েছে৷
https://www.facebook.com/cpimtripuraofficialpage/videos/2826969050902684/
যার কারণে ডিওয়াইএফআই এবং টিওয়াইএফের মিছিলে তারা নিজেদেরকে শামিল করেনি৷ একদিকে মহারাজার প্রতি আনুগত্য অন্যদিকে পুইলা জাতি ওল পার্টি আদর্শের সংমিশ্রণের কারণেই হয়তোবা শনিবারদিন রাজধানীতে এই চিত্র দেখা যায়।