স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৫ ফেব্রুয়ারী।। রাজ্যে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক সাফল্যের সাথে কাজ করছে৷ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে ঋণ প্রদান সহ বিভিন্ন বিষয়গুলো তুলে ধরেছে৷ এ ক্ষেত্রে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সাফল্যের বিষয় তুলে ধরে আহূত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান মহেন্দ্র মোহন গোস্বামী৷
তিনি বলেন, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত প্রকল্পে এই ব্যাঙ্ক-এর অংশগ্রহণ প্রশংসনীয় পর্যায়ে আছে এসএইচজি, জেএলজি, কৃষি ও সেই সংক্রান্ত অন্য ঋণ, বাড়ি ক্রয় করার জন্য ঋণ, ধূপকাঠি, হস্ততাঁত, গাভী পালন, পিএম কিষাণ, শূকর পালন, মুরগী পালন, মাছ চাষ, এমএসএমই, পিএমইজিপি এক ও দুই রাবার চাষ, স্মোক হাউজ ইত্যাদি সব সেক্টর এই ব্যাঙ্ক ঋণ দান করেছে৷ ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্কের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৬ সালের ২১ ডিসেম্বর মাত্র চারটি শাখা নিয়ে এবং প্রথম বছর সাড়ে তিন হাজার টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয় ব্যাঙ্ক, তারপর অনেক ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে ব্যাঙ্ক আজকে বেশ শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে যেযা নিচের কিছু পরিসংখ্যাণ থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাবে৷
নেট লাভ ১৩৩.৬১ কোটি, অপারেটিং লাভ ২০৬.১৮ কোটি, নেট এনপিএ-নেই, গ্রস এনপিএ-৭.৯৮ শতাংশ, মোট ব্যবসা ইতিমধ্যেই দশ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে, ব্যাঙ্কের নেট ওয়ার্থ ১০১০.৫৯ কোটি, নাভার্ড প্রদত রিপোর্ট অনুযায়ী এই ব্যাঙ্ক আর নতুন কোনো মূলধন ছাড়াই নিজে চলতে সক্ষম, ক্যারের দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, উত্তর পূর্ব ভারতে প্রথম স্থানে, নেট লাভ দেশে পঞ্চম ও উত্তরপূর্বে প্রথম স্থানে, সম্পত্তির রিটার্নে ভারতে দ্বিতীয় ও উত্তর পূর্বে সর্বোচ্চ এই পরিসংখ্যানগুলিই বলে দেয় আমাদের এই ছোট্ট রাজ্যের এই ব্যাঙ্কটি কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে৷
এদিন তিনি আরো বলেন, ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্কের এই সাফল্যের পেছনে এই রাজ্যের সমস্ত স্তরের জনগণ ও কর্মচারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও আন্তরিক প্রচেষ্টাই দায়ী বলে আজ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান মহেন্দ্র মোহন গোস্বামী জানালেন ও এজন্য সবাইকে তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন, তিনি আরও জানান যে সবার সহযোগিতায় এই ব্যাঙ্ক আগামীদিনে আরও অগ্রসর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ ব্যক্ত করেন৷