আর এইসকল দিক বিবেচনা করে অনেক ক্ষেত্রেই প্রেমের বিয়েকে অনেকে সঠিক সিদ্ধান্ত মনে করেন না। অনেকের মতে পারিবারিক বিয়েই সবদিক থেকে ভালো। যদি আপনারও মনে দ্বিধা থেকে থাকে তাহলে চলুন না জেনে নেয়া যাক কোন কারণে প্রেমের বিয়ের চাইতে পারিবারিক বিয়েই ভালো।
১/ সামাজিকভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে পারিবারিক বিয়ে –
যখন পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তখন দুই পরিবারের মানুষজন শুধু পাত্র বা পাত্রী দেখেন না। পুরো পরিবার এবং পারিবারিক সকল কিছু দেখেই বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।
এতে করে দুই পরিবারের জীবনযাপনের মান, একইভাবে বেড়ে উঠা পারিবারিক জীবনচর্চা, পারিবারিক স্ট্যাটাস, মূল্যবোধ এবং সংস্কার ও সংস্কৃতির অনেক মিল থাকে। ফলে পাত্র-পাত্রী এবং দুটি পরিবারের একেঅপরের সাথে মানিয়ে নিতে খুব বেশি কষ্ট হয় না। সম্পর্ক গভীর এবং দীর্ঘস্থায়ী হয় প্রেমের বিয়ের চাইতেও।
২/ পারস্পারিক শ্রদ্ধা ও সম্মান বেশি থাকে –
যখন দুটি পরিবার মিলে একটি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তখন স্বাভাবিকভাবেই পাত্র-পাত্রী একেঅপরের প্রতি নিজেদের শ্রদ্ধা ও সম্মান বজায় রেখে চলার চেষ্টা করেন।
কারণ এখানে শুধু দুজনের মান সম্মান নয় দুটি পরিবারের মান সম্মান জড়িত থাকে। অনেক প্রেমের বিয়ের ক্ষেত্রে সম্মান ও শ্রদ্ধা দেখা গেলেও যখন পারিবারিক নানা অসামঞ্জস্য সামনে পড়ে তখন দুজনের মনোমালিন্য অনেকাংশেই দুজনের সম্পর্কে বিরূপ ধারণার জন্ম দেয় ও সম্পর্কে চির ধরতে থাকে।
৩/ পারিবারিক বন্ধন মজবুত হয় পারিবারিক বিয়েতে –
পরিবারের সম্মতি এবং পারিবারিক ভাবে বিয়ে হলে পরিবারের সদস্যগণ খুব স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের নতুন সদস্যকে মেনে নেন এবং মানিয়ে নিতে সাহায্যও করেন। এতে সকলের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকে।
প্রেমের বিয়েতে মেনে নিলেও সম্মতি দেয়ার পরও ঝামেলা কোনো না কোনোভাবে তৈরি হয়ে যেতে পারে। যদিও সকলে একইরকম ভাবেন না তারপরও কিছু সমস্যা থেকে যায়।
৪/ পারস্পারিক সমঝোতা ও ছাড় দেয়ার মনোভাব বেশি থাকে –
প্রেমের বিয়েতে একে অপরের প্রতি অনেক সময় আশা ভরসা বেশি থাকে যা পূরণ না হলে অনেক সময় মান অভিমান পর্ব অনেকটা দূর গড়ায়। অনেক সময় প্রেমিক-প্রেমিকা ভাবেন প্রেম করার পরও সে কেন তার সমস্যা বুঝতে পারছে না বা এখনো এতো ছাড় কেন দিতে হবে। আর এতেই সমস্যা শুরু হয়।কিন্তু পারিবারিক বিয়েতে এই আশা জিনিসটি একটু কমই থাকে, বরং যা পাওয়া হচ্ছে তা নিয়েই অনেকে সুখে থাকার জন্য ছাড় দিয়ে চলেন এবং দুজনের মধ্যে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা বেশি দেখা যায়। এতে সম্পর্ক সুখের হয়।